কলকাতা: ভোট ঘোষণা হওয়ার পর আজই প্রথম রবিবার। তাই ছুটির দিনটাকে প্রচারের কাজে কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই কোনও দলই। এ দিন সকালেই ভবানীপুর কেন্দ্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরপক্ষে (Mamata Banerjee) ভোট প্রচারে যান রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। আর সেই প্রচারে গিয়ে নাম না করেই তৃণমূল বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন তিনি। নন্দীগ্রামের কথা উল্লেখ করে ফের একবার সামনে আনলেন ভোটে কারচুপির অভিযোগ। শুধু তাই নয়, তিনি সাফ জানালেন, ভবানীপুরে কোনও কারচুপি করার ক্ষমতা রাজ্য বিজেপির নেই। এই কেন্দ্রে মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিলে ‘পা ভেঙে’ দেওয়া হবে বলেও বার্তা দেন ফিরহাদ। এ দিন তিনি নাম না করে আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং-কে। যদিও ফিরহাদের এই আক্রমণকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ গেরুয়া শিবির। ফিরহাদের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ শানালেন অর্জুন সিং।
এ দিন সকালে চেতলা অঞ্চলে প্রচারে বেরিয়ে ছিলেন তিনি। ফিরহাদ হাকিম বলেন, বাড়ি বাড়ি যাওয়ার দরকার নেই, তবু গণতন্ত্রের নিয়মে প্রত্যেকের কাছে যাচ্ছেন তাঁরা। ৩০ তারিখের ভোটের কথা মনে করিয়ে দিতেই তাঁর এই প্রচার বলে উল্লেখ করেন ফিরহাদ। সেই সঙ্গে ফিরহাদ বার্তা দেন, ভবানীপুরে কোনও ধরনের রিগিং করা যাবে না। তাঁর দাবি, ভবানীপুরের মানুষ এই ধরনের কোনওকাজ হতে দেবে না। ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘নন্দীগ্রামে যে ভাবে রিগিং হয়েছে ভবানীপুরে তা করতে পারবেন না দিলীপ ঘোষরা।’ অর্জুন, শুভেন্দুকে নিশানা করে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘সে যত বড় মস্তানই হোক, মেদিনীপুরের হোক আর ব্যারাকপুরের হোক ভবানীপুরের মানুষ তার পা ভেঙে দেবে।’
গুরুত্ব দিতে অস্বীকার করলেও ফিরহাদকে পাল্টা জবাব দিতে পিছপা হলেন না অর্জুন সিং। তিনি বলেন, ‘এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি। এ ভাবেই ওরা গণতন্ত্রকে শেষ করে দিয়েছে।’ সরাসরি ফিরহাদের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ শানিয়ে অর্জুন সিং বলেন, ‘ফিরহাদ তো সরাসরি আল-কায়েদার লোক। ওর কাছ থেকে এর থেকে বেশি আর কী আশা করা যায়!’ তাঁর দাবি, বাংলার মানুষ জানে তৃণমূল কী ভাবে ‘জিহাদি শক্তি’ তৈরি করেছে, ভোট পরবর্তী হিংসায় তার প্রমাণ মিলেছে। তাঁর কথায়, ‘পা ভেঙে দিক, হাত ভেঙে দিক, খুন করে দিক, আমরাও তৈরি আছি।’
এ দিকে আজ সকালেই প্রচার সেরেছেন ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালও। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তিনি বলেন, ‘জয় নিয়ে আমি পুরোপুরি আশাবাদী কারণ আমি মানুষের জন্য লড়াই করছি। বিধানসভা নির্বাচনে খুনের খেলা খেলেছে ওরা। এবারও যদি তাই করে তাহলে তো গণতন্ত্রের কোনও মানে হয় না। এই সরকার খুনীদের সাপোর্ট করেছে। এর প্রতিবাদে আওয়াজ তুলতে হবে।’