কলকাতা : মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যিনি মঞ্চে সুরের ঝড় তুললেন, ভক্তদের সঙ্গে হাত মেলালেন, অনায়াসে গেয়ে গেলেন একের পর এক গান.. কয়েক ঘণ্টা পর তিনি আর নেই, এটা যেন এখনও বিশ্বাস করতে পারছে না কলকাতাবাসী। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ঘুরেফিরে আসছে কেকে-র গান। শহরের জনপ্রিয় মঞ্চে গান গাওয়ার পরই কী ভাবে মৃত্যু হল শিল্পীর? তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। কেমন ছিল অডিটোরিয়ামের পরিবেশ? কেন নির্ধারিত আসনের থেকে এত বেশি সংখ্যক শ্রোতা প্রবেশ করলেন ভিতরে? এই সব প্রশ্ন যখন সামনে আসতে শুরু করেছে তখন মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম দাবি করেছেন, ‘এই মৃত্যু নিয়ে কোনও বিতর্ক হওয়া উচিত নয়। তাঁর কথায়, কার কখন মৃত্যু হবে, তা কেউ বলতে পারে না।
মঙ্গলবার কেকে-র মৃত্যুর পর বুধবার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘এই ঘটনা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। কেকের মতন একজন শিল্পী আজ আর নেই।’ তিনি উল্লেখ করেন, মঞ্চে গান গাওয়ার সময়েই ব্যাথা অনুভব করেছিলেন শিল্পী, তা সত্ত্বেও দর্শকদের অনুরোধে একের পর এক গান গেয়েছিলেন। তারপর হোটেলে গিয়ে ফের অসুস্থতা অনুভব করেন। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় কিন্তু আর বাঁচানো যায়নি। তবে এই মৃত্যুতে কোনও বিতর্ক হওয়া উচিত নয় বলে মনে করেন মেয়র। তিনি বলেন, ‘কার কখন ডাক আসবে। কখন হার্টটা বন্ধ হয়ে যাবে কেউ বলতে পারে না। আমি এখন আছি, এক মিনিট পর নাও থাকতে পারি।’
আর নজরুল মঞ্চের পরিস্থিতি নিয়ে বলতে গিয়ে ফিরহাদ হাকিম স্বীকার করেন, অনেক বেশি শ্রোতা প্রবেশ করেছিলেন নজরুল মঞ্চে। যেখানে ২৭০০ শ্রোতার জায়গা রয়েছে, সেখানে ৭০০০ মানুষ পৌঁছে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, বিভিন্ন কলেজের অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা দেখা যাচ্ছে বলে কেএমডিএ আর নজরুল মঞ্চল না দেওয়ার কথাও বলেছিল তাঁকে। তবে মেয়রের ব্যাখ্যা, শিল্পীর জনপ্রিয়তার জন্য কাউকে আটকানো সম্ভব হয়নি। পাঁচিল টপকে ছেলেমেয়েরা ভিতরে প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ। তিনি আরও উল্লেখ করেন, ওই জায়গায় পুলিশ লাঠিচার্জও করতে পারে না। তবে এসি যে ঠিক ছিল, তেমনটা দাবি করেছেন ফিরহাদ। তাঁর দাবি, এত বেশি মানুষ প্রবেশ করে যাওয়াতেই পরিবেশ নষ্ট হয়েছিল। তবে সেই প্রভাব মঞ্চ পর্যন্ত পৌঁছয়নি বলেই দাবি করেন তিনি।