কলকাতা: শনিবারের বারবেলায় লক্ষ-লক্ষ টাকা উদ্ধার শহরে। আবারও টাকার বান্ডিল দিয়ে ‘ইডি’ লেখার সাক্ষী রইল গোটা রাজ্য। এক পরিবহণ ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ ৭ লক্ষ টাকা। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইডি আজ সকালে হানা দেয় নিসার আলি নামে এক পরিবহণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে। তখনই খাটের তলা থেকে উদ্ধার হয় পাঁচশো ও দু’হাজারের নোট। এই খবর সম্প্রচার হতেই রাজনৈতিক ময়দানে নেমে পড়েছেন শাসক-বিরোধী দুই শিবির। যুযুধান দুই পক্ষ একে অপরকে তোপ দাগতে ব্যস্ত।
রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘আইটি রেড, ইডি রেড করে বোঝাতে চাইছে ব্যবসা বাংলায় করো না। ব্যবসা করতে গেলে আমাদের রাজ্যে চলে এসো। এখানে থাকলে আমরা এইভাবে ব্যবসায়ীদের আক্রান্ত করব। এর মাধ্যমে বাংলার অর্থনীতিকে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে আমার মনে হয়।’
অপরদিকে, রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘তৃণমূলের রাজত্বে পশ্চিমবঙ্গে আপনি যেখানে হাত দেবেন সেখানেই টাকা পাবেন। বাংলায় কালো টাকা উড়ে বেরাচ্ছে। খাটের তলায় এখন কোটি-কোটি টাকা উদ্ধার হচ্ছে। কখনও মাদক ব্যবসায়ীর বাড়ি, কখনও মাছ ব্যবসায়ী কখনও আবার অপার টাকা উদ্ধার হচ্ছে। ওদিকে আবার অনুব্রত মণ্ডলের সম্পত্তির পর সম্পত্তি পাওয়া যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে যে লুঠের রাজত্ব এবং সেই ভাগাভাগি কে কতটা পাচ্ছে তার তর্ক-বিতর্ক করে লাভ নেই। গোটা বাংলার সর্বনাশ হয়ে গেছে। যে বাংলা সংস্কৃতীর দিক থেকে এগিয়ে ছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে সেই বাংলার কী অবস্থা হয়ে গিয়েছে।’
কংগ্রেস নেতা অধির চৌধুরী জানান, ‘পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল নেতার ঘরে ঢুকলেই টাকা। পার্থবাবুর বিষয় দেখা গেল। থরে-থরে টাকার নোট উদ্ধার। দিদি বলবেন আমার ওগুলো কবিতার বই ছিল। বাংলার মানুষের কাছে দিদির চেহারা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।’
মাস খানেক আগে ঠিক এমনই ছবি দেখেছিল গোটা বাংলা। রীতিমত তাজ্জব বনে গিয়েছিলেন রাজ্যবাসী। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বাংলার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা উদ্ধারের পরই একই ভাবে ইডি লেখা হয়েছিল। এরপর সেই শনিবারের বার বেলায় সেই একই ছবি দেখল গোটা বাংলা। ইডি সূত্রে খবর, টাকা গোনার মেশিন এসে সেই সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
কলকাতা: শনিবারের বারবেলায় লক্ষ-লক্ষ টাকা উদ্ধার শহরে। আবারও টাকার বান্ডিল দিয়ে ‘ইডি’ লেখার সাক্ষী রইল গোটা রাজ্য। এক পরিবহণ ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ ৭ লক্ষ টাকা। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইডি আজ সকালে হানা দেয় নিসার আলি নামে এক পরিবহণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে। তখনই খাটের তলা থেকে উদ্ধার হয় পাঁচশো ও দু’হাজারের নোট। এই খবর সম্প্রচার হতেই রাজনৈতিক ময়দানে নেমে পড়েছেন শাসক-বিরোধী দুই শিবির। যুযুধান দুই পক্ষ একে অপরকে তোপ দাগতে ব্যস্ত।
রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘আইটি রেড, ইডি রেড করে বোঝাতে চাইছে ব্যবসা বাংলায় করো না। ব্যবসা করতে গেলে আমাদের রাজ্যে চলে এসো। এখানে থাকলে আমরা এইভাবে ব্যবসায়ীদের আক্রান্ত করব। এর মাধ্যমে বাংলার অর্থনীতিকে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে আমার মনে হয়।’
অপরদিকে, রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘তৃণমূলের রাজত্বে পশ্চিমবঙ্গে আপনি যেখানে হাত দেবেন সেখানেই টাকা পাবেন। বাংলায় কালো টাকা উড়ে বেরাচ্ছে। খাটের তলায় এখন কোটি-কোটি টাকা উদ্ধার হচ্ছে। কখনও মাদক ব্যবসায়ীর বাড়ি, কখনও মাছ ব্যবসায়ী কখনও আবার অপার টাকা উদ্ধার হচ্ছে। ওদিকে আবার অনুব্রত মণ্ডলের সম্পত্তির পর সম্পত্তি পাওয়া যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে যে লুঠের রাজত্ব এবং সেই ভাগাভাগি কে কতটা পাচ্ছে তার তর্ক-বিতর্ক করে লাভ নেই। গোটা বাংলার সর্বনাশ হয়ে গেছে। যে বাংলা সংস্কৃতীর দিক থেকে এগিয়ে ছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে সেই বাংলার কী অবস্থা হয়ে গিয়েছে।’
কংগ্রেস নেতা অধির চৌধুরী জানান, ‘পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল নেতার ঘরে ঢুকলেই টাকা। পার্থবাবুর বিষয় দেখা গেল। থরে-থরে টাকার নোট উদ্ধার। দিদি বলবেন আমার ওগুলো কবিতার বই ছিল। বাংলার মানুষের কাছে দিদির চেহারা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।’
মাস খানেক আগে ঠিক এমনই ছবি দেখেছিল গোটা বাংলা। রীতিমত তাজ্জব বনে গিয়েছিলেন রাজ্যবাসী। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বাংলার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা উদ্ধারের পরই একই ভাবে ইডি লেখা হয়েছিল। এরপর সেই শনিবারের বার বেলায় সেই একই ছবি দেখল গোটা বাংলা। ইডি সূত্রে খবর, টাকা গোনার মেশিন এসে সেই সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।