কলকাতা: গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ীর বাড়িতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হানার পরই সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন ফিরহাদ হাকিম। কিছুটা বিরক্তির সুরেই অভিযোগ তুলেছিলেন, বাংলায় যাতে কেউ ব্যবসা না করেন, ব্যবসায়ীদের সেই বার্তা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। সেই মন্তব্যের পর এবার একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে ইডির তদন্তের পক্ষে সওয়াল করতে দেখা গেল রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে। এদিন ফিরহাদ হাকিম বললেন, “রাজনীতিতে অভিযোগ যাই আসুক, এজেন্সি এজেন্সির কাজ করবে। বেআইনি সম্পত্তির জন্য গ্রেফতার করতেই হবে। কারণ, দেশ চালানোর জন্য সরকারের এটা দরকার।”
বেআইনি সম্পত্তি প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম আরও বলেন, “সেটা যদি কেউ করে থাকে, তাহলে কারও কোনও আপত্তি থাকার কথা নয়। তাই না? হানা নিয়ে তো কারও কোনও আপত্তি থাকার কথা নয়। যেসব গেম এখন বেরিয়েছে, ব্যাঙ্কের থেকেও অনেকে লুঠ করছে টাকা। এজেন্সির সঙ্গে সঙ্গে মানুষকেও সচেতন থাকতে হবে, যাতে এমন কোনও ফাঁদে পা না দেওয়া হয়।” চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই সম্পূর্ণ ভোলবদল ফিরহাদ হাকিমের। আর এই নিয়েই ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। উল্লেখ্য, শুধু ফিরহাদ হাকিমই নন, তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা তথা সাংসদ সৌগত রায়ও শনিবার ইডির অভিযান নিয়ে বক্রোক্তি শানিয়েছিলেন।
এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য কড়া ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে বলেন, “গতকাল ফিরহাদ হাকিম যা বলেছিলেন, সেটাই ছিল ঠিক। সেটাই পশ্চিমবঙ্গের বাস্তব। রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ১১ বছর ক্ষমতায় থেকে অর্থনীতিকে খাটের তলায় ঢুকিয়ে দিয়েছে এবং উন্নয়নকে মশারির ভিতর আটকে রেখে দিয়েছে। আজ যখন জনমতের প্রবল চাপ এবং দলও বুঝতে পারছে তিনি কী বলেছেন, সত্যি কথাটা বেরিয়ে গিয়েছে, সেই জন্য তিনি অবস্থান বদল করছেন। ওই অঞ্চলের মানুষই জানে, এর সঙ্গে যোগাযোগ কার, টাকা কার। তৃণমূল জানে, যত তদন্ত এগোবে, তত তাদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠবে।”