কলকাতা: এবার শহরের এক আইপিএসের বাড়িতে সিআইডি হানা। আয় বহির্ভূত সম্পত্তির খোঁজে ওই আধিকারিকের সল্টলেকের আবাসনে তল্লাশি চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। ব্যবসায়ী সুদীপ্ত রায় চৌধুরীর সল্টলেকের বাড়িতেও চলছে সিআইডি হানা। ভুয়ো অফিসার সেজে টাকা তোলার অভিযোগে সুদীপ্তর বিরুদ্ধে চলছে তদন্ত। তাঁর কাছ থেকে পাওয়া সূত্র ধরেই সল্টলেকের তিন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। সিআইডি স্ক্যানারে সুদীপ্ত ঘনিষ্ঠ পুলিশ কর্তা দেবাশিস ধরও। অস্বাভাবিক সম্পত্তি বৃদ্ধির অভিযোগ রয়েছে এই আইপিএসের বিরুদ্ধে। এমনটাই ধরা পড়েছে গোয়েন্দাদের তদন্তে। শীতলকুচি কাণ্ডে ইতিমধ্যেই দেবাশিসের বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে সিআইডি আধিকারিকরা।
এই ঘটনার মূল সূত্রপাত অনেক আগেই। সুদীপ্ত নামে ওই ব্যবসায়ীকে দু’বার গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২০১৮ সালে রোজভ্যালি কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত গৌতম কুণ্ডুকেই ইডি আধিকারিক পরিচয় দিয়ে ২ কোটি টাকার প্রতারণা করেছিলেন সুদীপ্ত। গৌতম কুণ্ডু অভিযোগ করেছিলেন, সুদীপ্ত তাঁকে সে সময় ফোন করে বলেছিলেন, ‘ইডি-র সমস্ত মামলা সেটেলড্ করে দেওয়া হবে।’ সেই বছর তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় সুদীপ্তকে। এরপর ২০২০ সালে ইডি তরফ থেকে একটি অভিযোগ করা হয়, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের কিছু নথি জাল করে কয়েক জন ব্যবসায়ীকে হুমকি দিয়ে ভুয়ো নোটিস পাঠিয়ে তোলাবাজি করছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করতে গিয়ে সুদীপ্ত রায় চৌধুরী নামে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। তাতেই উঠে আসে সুদীপ্তর ঘনিষ্ঠ এই আইপিএসের নাম। দেবাশিস ধর ২০১০ সালের আইপিএস। এর আগে বিধাননগর কমিশনারেটে তিনি অ্যাডিশন্যাল সিপি হিসাবে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি শীতলকুচির ঘটনার সময়ে তিনি কোচবিহারের পুলিস সুপার পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি ইতিমধ্যেই সিআইডি র্যাডারে রয়েছেন।
দেবাশিসের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে গিয়ে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, গত পাঁচ বছরে ২০১৫-২০১৯ সালের মধ্যে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কীভাবে তাঁর আয় বহির্ভূত সম্পত্তি হল, সেই তথ্যই তদন্তকারীরা জানতে চান।