কলকাতা : এবার ডেঙ্গি নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য তরজা। রাজ্য নাকি ডেঙ্গি আক্রান্তের কোনও তথ্যেই দিচ্ছে না কেন্দ্রকে। এমনটাই দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ভারতী প্রবীন পাওয়ার। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে সে কথা শুনেই মেজাজ হারালেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বললেন, ‘লুকতে যাব কেন আমি কি পাগল?’ তাঁর দাবি, আক্রান্তের কথা বললে কেন্দ্র থেকে সাহায্য পেতেই সুবিধা হবে, তাই তথ্য লুকনোর কোনও অভিপ্রায় তাঁর নেই। বিগত কয়েকদিনে রাজ্যে শুধু ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগ বাড়িয়েছে তাই নয়, যেভাবে ডেঙ্গিতে কম বয়সীদের মৃত্যু হচ্ছে, তা কপালে ভাঁজ ফেলেছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদেরও। যদিও সবটাই সচেতনতার অভাব বলে দাবি করছেন ফিরহাদ হাকিম।
শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে ফিরহাদ বলেন, ‘দুর্ভাগ্য হচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী যখন এখানে আসেন, তখন বিজেপির নেতা হয়ে কথা বলেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর স্টেটাসে যদি উনি এখানে আসতেন তাহলে এই ধরনের কথা বলতেন না। এখানকার বিজেপি নেতারা যেহেতু বাজার গরম করার জন্য এসব বলছে, তারই প্রতিধ্বনি ওঁর মুখে।’ রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করে মেয়র বলেন, ‘আমরা তথ্য কেন লুকব? তথ্য লুকিয়ে লাভ কী? তথ্য লুকলে কার সুবিধা হবে? আমার এখানে যদি ডেঙ্গি হয় বা করোনা হয় আমি লুকাতে যাব কেন? আমি কি পাগল? ডেঙ্গি কি আমার ইচ্ছেতে এসেছে, নাকি আমার অনিচ্ছাতে এসেছে? সারা ভারত জুড়ে ডেঙ্গি হচ্ছে, তাহলে এটা কি নরেন্দ্র মোদীর অপদার্থতায় হচ্ছে?’ তাঁর আরও দাবি, আক্রান্তের কথা বললে কেন্দ্র থেকেই টাকা পেতে সুবিধা হবে।
এমনকী সিঙ্গাপুরেও ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ছে বলে উল্লেখ করেছেন মেয়র। এদিন ফের একবার মানুষের সচেতনতার কথা বলেন ফিরহাদ। তাঁর দাবি, সবাই মিলে যদি জল জমা বন্ধ করা যায়, তাহলেই ডেঙ্গি চলে যাবে।
বিজেপিকে তোপ দেগে মেয়র দাবি করেন, মন্ত্রীরা কিছু না জেনেই বিজেপির হয়ে প্রচারে আসে বাংলায়। বাংলায় গেরুয়া শিবির কোনওদিনই জায়গা পাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিনে বাংলায় একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ডেঙ্গিতে। শুক্রবার সন্তোষপুরের এক ৩০ বছরের যুবকের মৃত্যু হয়। এর আগে ৮ ও ৯ বছরের নাবালক ও নাবালিকার মৃত্যু হয় ডেঙ্গিতে। অল্প বয়সিদের এভাবে মৃত্যুর ঘটনা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে চিকিৎসকদের।