কলকাতা: ডেঙ্গি (Dengue) মোকাবিলায় সজাগ দৃষ্টি রাখছে স্বাস্থ্য দফতর (West Bengal Health Department)। সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। সামান্য কোনও উপসর্গ দেখা দিলেও ডেঙ্গি পরীক্ষার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তারপরও নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না ডেঙ্গি পরিস্থিতি। শুক্রবার (১১ নভেম্বর) রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের হিসেব অনুযায়ী একদিনে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৯০৫ জন। মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ৭ হাজার ৪৪৪ জনের। পরিস্থিতি নিয়ে নাগাড়ে রাজ্য প্রশাসনকে তুলোধনা করে যাচ্ছে বিরোধী শিবির। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ডাক দিয়েছেন কলকাতা পুরনিগমের যে তিনটি ওয়ার্ড বিজেপির হাতে রয়েছে, সেগুলিকে ডেঙ্গি দমনে মডেল ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তোলার জন্য।
শুক্রবার লেবুতলা এলাকায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও কলকাতা পুরনিগমের বিজেপির কাউন্সিলর সজয় ঘোষের উপস্থিতিতে এক ডেঙ্গি সচেতনতা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সেখানে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “২০২২ সালে ডেঙ্গি কার্যত মহামারীতে পরিণত হয়েছে। মেয়র বলছেন, সিঙ্গাপুরে ডেঙ্গু আছে। এরা এই জায়গাটা ভাল জানেন, কারণ এদের নেতাদের বিদেশে অ্যাকাউন্ট থাকে। মুখ্যমন্ত্রী বলছেন ডেঙ্গির জন্য প্রধানমন্ত্রী দায়ী। যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় স্বাস্থ্য রাজ্যের ইস্যু। পুরসভার চেয়ারে যারা আছেন, তাঁদের দায়িত্ব ডেঙ্গি প্রতিরোধ করা। স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা কেউ পায় না। আমাদের যে তিনটি ওয়ার্ড আছে সেগুলিকে মডেল ওয়ার্ড করতে চাই।”
কলকাতায় ও আশপাশের এলাকায় ডেঙ্গির পরিস্থিতি ক্রমেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। ডেঙ্গি নিয়ে আমজনতাকে সচেতন করার ক্ষেত্রে কোনও খামতি রাখছে না শাসক শিবিরও। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম নিজে নেমেছেন রাস্তায়। অন্যদিকে সচেতনতা প্রচারে সামিল বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষও। শুক্রবার পুরনিগমের ৫০ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি ঢুকে সচেতনতা প্রচার করেন তিনি। ডেঙ্গিতে শুধুমাত্র কলকাতা পুরনিগম নয় মানুষকেও হতে হবে সচেতন। কোথাও জল জমতে দেওয়া যাবে না এমন বার্তাও তিনি দিয়েছেন এলাকার ঘরে ঘরে গিয়ে।
পাশাপাশি পুরনিগমের বেহাল অবস্থার দিকেও আঙুল তুলেছেন তিনি। ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে যে সমস্ত যন্ত্রপাতি ও সামগ্রীর প্রয়োজন, পুরনিগমের কাছে সেই সব কিছুই নেই বলে দাবি সজল ঘোষের। শাসক শিবিরকে খোঁচা দিয়ে তাঁর প্রশ্ন, শুধুমাত্র মশার তেল বা ব্লিচিং দিয়ে কি মশা মারা যায়? তাই ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে নিজেদেরকেও সতর্ক থাকতে হবে, সেই বার্তাই দিয়েছেন সজল।