কলকাতা: সরস্বতী নাট্য় সম্মানে ভূষিত হলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। শুক্রবার নেতাজি নগর সরস্বতী নাট্যশালার উদ্যোগে এক নাট্যোৎসবের উদ্বোধন হয়। ওই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীকে এই বিশেষ সম্মানে ভূষিত করা হয়। রাজ্যের নাট্য জগতে ব্রাত্য বসু অতি পরিচিত নাম। দীর্ঘদিন ধরে নাট্যচর্চার সঙ্গে যুক্ত নিয়। একটি নিজস্ব নাট্যদলও রয়েছে তাঁর। বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যাবিনেটে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি। কিন্তু শিক্ষা দফতরের গুরু দায়িত্ব সামলেও নাট্য জগতের প্রতি তাঁর টান একইরকম রয়ে গিয়েছে। অতীতেও বহু নাট্য সম্মানে ভূষিত হয়েছেন তিনি। এবার আরও একটি নাট্য সম্মানে ভূষিত হলেন তিনি।
নাট্য জগতের সঙ্গে ব্রাত্য বসুর যোগ পারিবারিক সূত্রে। বাবা বিষ্ণু বসুও একজন বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব। গণকৃষ্টি নামে একটি নাট্যদলের সাউন্ড অপারেটর হিসেবে নাটকের জগতে তাঁর যাত্রা শুরু হয়েছিল। পরে নাটক লেখা ও পরিচালনাও শুরু করেন। অরণ্যদেব, শহরইয়ার, উইঙ্কল টুইঙ্কল, চতুষ্কোণ তাঁর উল্লেখযোগ্য নাটকগুলির মধ্যে অন্যতম। ২০০৮ সালে নিজের একটি নাট্যদলও তৈরি করে ফেলেন তিনি। নাম দেন ব্রাত্যজন। ২০২১ সালের সাহিত্য অ্যাকাদেমি সম্মানেও ভূষিত হয়েছেন ব্রাত্য বসু।
শুধু নাট্য জগতের সঙ্গেই নয়, এর পাশাপাশি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী হিসেবেও যাবতীয় দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন তিনি। রাজ্যে যখন শিক্ষাক্ষেত্রে একের পর এক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে, সেই সময় রাজ্যের শিক্ষা পরিকাঠামোর স্বচ্ছ্ব ভাবমূর্তি আমজনতার কাঁধে তুলে ধরার গুরু দায়িত্ব রয়েছে তাঁর কাঁধেই। বিশেষ করে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে একের পর এক শিক্ষা আধিকারিকদের গ্রেফতারির পর সেই চ্যালেঞ্জ আরও বেড়েছে ব্রাত্য বসুর জন্য। রাজ্যে নিয়োগ সংক্রান্ত জট কাটাতে ইতিমধ্যেই আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। যদিও সাম্প্রতিককালে ব্রাত্য বসুর বেশ কিছু মন্তব্য সাম্প্রতিককালে বেশ বিতর্কও তৈরি করেছে। যেমন কিছুদিন আগেই রাজ্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, “বিরোধীরা রাজনৈতিক ধুয়ো দিয়েছে আন্দোলনে। আন্দোলন করা মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু আন্দোলন করলেই তো চাকরি পাওয়া যাবে না, চাকরি তো হবে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে, যোগ্যতার ভিত্তিতে।”