AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Firhad Hakim: ‘ইলেকশন কমিশন এখন ম্যাজিশিয়ন হয়ে গিয়েছে’, ওয়ার রুম পরিদর্শনে গিয়ে হঠাৎ কেন বললেন ফিরহাদ?

Firhad Hakim On Election Commission: ফিরহাদ বলেন, " আমাদের কর্মীরা মানুষের ভোট রক্ষার জন্য প্রাণপণ কাজ করছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষভাবে চলছে না, কিছু কিছু জায়গায় দেখা যাচ্ছে ভুল ম্যাপিং হচ্ছে, ভোটারকে কাটানোর জন্য ভুল ম্যাপিং, একটা নম্বর ফেলে দেওয়া হচ্ছে, দেখাচ্ছে বহরমপুরে থাকে, যখন সেটা এন্ট্রি করছে, তখন ভুল ম্যাপিং করে দেওয়া হচ্ছে।"

Firhad Hakim: 'ইলেকশন কমিশন এখন ম্যাজিশিয়ন হয়ে গিয়েছে', ওয়ার রুম পরিদর্শনে গিয়ে হঠাৎ কেন বললেন ফিরহাদ?
ফিরহাদ হাকিমImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Dec 02, 2025 | 4:17 PM
Share

কলকাতা: এসআইআর-এর মাঝেই বিস্ফোক কলকাতা পৌরনিগমের মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ফিরহাদের অভিযোগ, নির্বাচন তালিকা সংশোধনের নামে বাড়ি, ব্লক ভ্যানিশ করে দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু নম্বর দেওয়ার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল ম্যাপিং করা হচ্ছে। সোমবার চৌরঙ্গী বিধানসভা কেন্দ্রের ওয়ার রুম পরিদর্শনে গিয়েছেন ফিরহাদ। সেখানে গিয়েই এরকম বিস্ফোরক অভিযোগ করেন।

ফিরহাদ বলেন, ” আমাদের কর্মীরা মানুষের ভোট রক্ষার জন্য প্রাণপণ কাজ করছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষভাবে চলছে না, কিছু কিছু জায়গায় দেখা যাচ্ছে ভুল ম্যাপিং হচ্ছে, ভোটারকে কাটানোর জন্য ভুল ম্যাপিং, একটা নম্বর ফেলে দেওয়া হচ্ছে, দেখাচ্ছে বহরমপুরে থাকে, যখন সেটা এন্ট্রি করছে, তখন ভুল ম্যাপিং করে দেওয়া হচ্ছে।”


ফিরহাদের বক্তব্য, যাঁরা প্রকৃতই ভোটার, যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে গোটা পরিবার নিয়ে এলাকায় বাস করছেন, এরকমও পুরো ব্লক উধাও হয়ে যাচ্ছে, বাড়ি উধাও হয়ে যাচ্ছে এই প্রক্রিয়ায়। তাঁদের ফর্মই আসেনি বলে অভিযোগ ফিরহাদের। ফিরহাদের বক্তব্য, “আমি এলাকায় গেলে তো ওই সমস্ত মানুষগুলোর সম্মুখীন হচ্ছি। আমাকে বলছে আমরা গত লোকসভাতে ভোট দিয়েছি। আমাদের ফর্ম এল না কেন? বাড়িটা উধাও করে দিল।” ফিরহাদের কথায়, “ম্যাজিকে আছে না ভ্যানিশ, ইলেকশন কমিশন এখন ম্যাজিশিয়ন হয়ে গিয়েছে।” একই এলাকায় পরপর ছ’টি বাড়ি ‘ভ্যানিশ’ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।  বিজেপি ভোট কাটার চেষ্টা করছে বলে আবারও অভিযোগ করেন ফিরহাদ।

এর আগেও অভিযোগ উঠেছে, ২০০২ সালে যাঁদের নাম ছিল, ২০২৫ সালের তালিকায় তাঁদের নাম নেই। এমনকি একটি পরিবারের তিন জনেরই নাম উধাও হয়ে গিয়েছে। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জায়গায় এহেন অভিযোগ উঠেছে একাধিক। কিন্তু খাস কলকাতার বুকে ম্যাপিংয়ের কাজে গোটা পাড়াই উধাও হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন মেয়র।

এর আগেই সাংবাদিক বৈঠক করে কমিশনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছে তৃণমূল। এসআইআর-এর মাধ্যমে আসলে ‘সাইলেন্ট রিগিং’ হচ্ছে বলেও সাংবাদিক বৈঠক করে অভিযোগ তুলেছিলেন তৃণমূলের চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও কুণাল ঘোষরা। ) অভিযোগ, ২০০২ সালের ভোটার লিস্টের হার্ড কপি আর কমিশনের ওয়েবসাইটে আপলোড করা বর্তমান তালিকার মধ্যে বিস্তর ফারাক।