কলকাতা : ত্রিপুরায় পৌরভোটের নির্বাচনী প্রচার কর্মসূচি শেষ করে রাজ্যে ফিরছিলেন কুণাল ঘোষ, ব্রাত্য বসু, সায়নী ঘোষরা। আগরতলা থেকে ইন্ডিগোর একটি বিমানে কলকাতায় উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। কিন্তু এখানেও বিপত্তি। বিমানে বসেই একেবারে থতমত খেয়ে যান সায়নীরা।
কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণের মুখেই ফের ঝাঁকুনি। টার্বুলেন্স নাকি! না, না… সে তো মাঝ আকাশে হয়। বিমান তো রানওয়ে স্পর্শ করবে এখুনি। তাহলে? এরইমধ্য়ে বিমানটি ঝাঁকুনির পর থেকে গতি বাড়িয়ে আবার উপরের দিকে উঠতে শুরু করে।
বিমানটি অবতরণের জন্য পুরোপুরি তৈরি ছিল। রানওয়ে প্রায় স্পর্শ করবে করবে। পেশাদারিত্বের তাগিদে সময়ের আগেই গন্তব্যে পৌঁছে গিয়েছিল বিমানটি। বিমানের চাকাও বেরিয়ে এসেছিল অবতরণের জন্য। কিন্তু তারপর হঠাৎই ঝাঁকুনি দিয়ে গতি বাড়িয়ে, চাকা গুটিয়ে উপরের দিকে উঠতে শুরু করে বিমানটি। প্রথমটায় সবাই বেশ ঘাবড়ে গিয়েছিলেন।
বিমান কিছুটা উপরে উঠতেই জানা গেল আসল ব্যাপার। বিমানের ক্যাপ্টেন ককপিট থেকে মাইক্রোফোনে জানালেন গোটা বিষয়টি। বিমানটি যে রানওয়েতে অবতরণ করার কথা ছিল, সেখানে একটি কুকুর ঢুকে গিয়েছিল। আর এই সারমেয় বিপত্তির জেরেই আবার বিমান অবতরণের অনুমতি শেষ মুহূর্তে বাতিল করা হয়। কুণাল, ব্রাত্য, সায়নীদের নিয়ে আবার উপরের দিকে উড়ে যায় বিমানটি। প্রায় পনেরো মিনিট আকাশেই চক্কর কাটতে থাকে বিমানটি।
এদিকে রানওয়েতে তখন চলছে সারমেয় থেকে নিস্তারের যুদ্ধ। অবশেষে, বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড স্টাফরা কুকুরটিকে রানওয়ে থেকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যান। রানওয়ে পরিষ্কার হলে, ফের বিমানটিকে অবতরণের জন্য সবুজ সংকেত দেওয়া হয়। মিনিট পনেরো আকাশে ঘোরার পর নিরাপদেই রানওয়েতে অবতরণ করে ইন্ডিগোর বিমানটি। ত্রিপুরার পুরভোটের শেষ দিনের প্রচার সেরে তৃণমূল নেতারা কার্যত সকলেই এই বিমানেই ফেরেন। বিমানে ছিলেন ব্রাত্য বসু, কুণাল ঘোষ, সুস্মিতা দেব, সায়নী ঘোষ সহ অন্যান্য নেতা-নেত্রীরা।
উল্লেখ্য, ত্রিপুরায় পৌরভোটের নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিন ছিল আজই। সেই প্রচার পর্ব শেষে আজ সন্ধ্যায় আগরতলা থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন সায়নী ঘোষরা। দুদিন আগেই ত্রিপুরায় বড় ঝক্কি পোহাতে হয়েছে তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের। জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার হয়েছিলেন সায়নী। তাঁর বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল। পুলিশ হেফাজতে একরাত কাটাতেও হয়েছিল। সেই নিয়ে কম দৌঁড়াদৌড়ি করতে হয়নি তৃণমূল নেতাদের। পরে অবশ্য আদালতে পেশ করা হলে জামিন পান সায়নী। কিন্তু ঝক্কি যেন আর পিছু ছাড়ছে না তাঁদের। কলকাতায় ফেরার সময়েও সারমেয় বিভ্রাট। যদিও মিনিট পনেরোর মধ্যেই তাঁদের বিমান অবতরণ করে যায়।