কলকাতা : কলকাতা বিমানবন্দরে ফের জরুরি অবতরণ এক বিমানের। মাঝ আকাশে বিমানের জ্বালানি ফুরিয়ে এসেছিল। সেই কারণে জরুরি ভিত্তিতে বিমানটি অবতরণ করানো হয় কলকাতা বিমানবন্দরে। জানা গিয়েছে, আইজল থেকে কলকাতাগামী ওই বিমানে ১২৩ জন যাত্রী ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন ৬ জন কেবিন ক্রু। এদিন দুপুরে জরুরি ভিত্তিতে বাকি সব বিমানকে ‘গো অ্যাওয়ে’ করিয়ে ওই বিমানটিকে অবতরণের অনুমতি দেওয়া হয়। সব বিমানযাত্রীদের নিয়ে এদিন দুপুর সাড়ে ১২ টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে বিমানটি।
জানা গিয়েছে, ইন্ডিগো উড়ান সংস্থার ৬ই ৪৩৩ বিমানটি মঙ্গলবার বেলা ১১ টা ১৩ মিনিটে আইজল থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। কলকাতা বিমানবন্দরে সেটির অবতরণের সময় ছিল দুপুর ১২ টা ৩৮ মিনিট। কিন্তু মাঝ আকাশেই বিমানটির জ্বালানি প্রায় ফুরিয়ে আসে। সঙ্গে সঙ্গে বিমানের পাইলট যোগা যোগ করেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। এয়ারপোর্ট অপারেশন কন্ট্রোল সেন্টারে জানান, বিমানের জ্বালানি ফুরিয়ে আসার বিষয়টি। তড়িঘড়ি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে ফেলে কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষও। জরুরি ভিত্তিতে কলকাতা বিমানবন্দরে ইন্ডিগো উড়ান সংস্থার ওই বিমানটি অবতরণ করানোর ব্যবস্থা করা হয়। আপদকালীন সব পরিষেবাগুলিকে মোতায়েন করে দেওয়া হয় বিমানবন্দরে।
ওই সময়ে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে যে বিমানগুলি উড়ে যাওয়ার কথা ছিল বা যে উড়ানগুলি অবতরণের সময় ছিল, সেই সব বিমানগুলিকে ‘গো অ্যাওয়ে’ করে দেওয়া হয়। আর সেই সময় দুপুর ১২ টা ৩৩ মিনিটে, নির্ধারিত সময়ের আগেই বিমানবন্দরে অবতরণ করে আইজল থেকে কলকাতাগামী ইন্ডিগো উড়ান সংস্থার ওই বিমানটি। এরপর দুপুর পৌনে ১ টা নাগাদ জরুরি অবস্থা বাতিল করা হয়।
উল্লেখ্য, এ ক্ষেত্রে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিমানের যাত্রী সুরক্ষা ও নিরাপত্তাজনিত বিষয় নিয়ে। আইজল থেকে কলকাতায় আসার জন্য ওই বিমানে কেন পর্যাপ্ত পরিমাণে জ্বালানি ছিল না? পাশাপাশি, এই ধরনের ক্ষেত্রে কোনওরকম অঘটন ঘটার আশঙ্কাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এর আগে ২১ অগস্ট দিল্লি থেকে কলকাতাগামী একটি বিমানকেও কলকাতা বিমানবন্দরে জরুরি ভিত্তিতে অবতরণ করানো হয়েছিল। ওই বিমানের কার্গো হোল্ডে ধোঁয়ার সংকেত দেখা গিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে অবশ্য বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছিল, বিমানের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ওই সংকেত দেখা গিয়েছিল।