Recruitment Case: বন সহায়ক পদে নিয়োগের মামলায় দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ কলকাতা হাইকোর্টের

Recruitment Case: বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে অবকাশকালীন বেঞ্চে মামলা করেন সংশ্লিষ্ট দফতরের কয়েকজন কর্মী।

Recruitment Case: বন সহায়ক পদে নিয়োগের মামলায় দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ কলকাতা হাইকোর্টের
কলকাতা হাইকোর্টImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 25, 2023 | 1:07 PM

কলকাতা: রাজ্যে বন সহায়ক পদে ২ হাজার চাকরি নিয়ে মামলায় নতুন করে ইন্টারভিউ-এর নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে যে মামলা হয়, তার দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ করে দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও বিচারপতি পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। বন সহায়ক পদে চুক্তিভিত্তিক বা অস্থায়ী পদে ২ হাজার জনের চাকরির প্যানেল অবৈধ জানিয়েছিলেন বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশ ছিল, ২ মাসের মধ্যে পুরনো প্যানেল বাতিল করে ইন্টারভিউ নিতে হবে। নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

হাইকোর্টের সেই নির্দেশ মতো, চলতি সপ্তাহে এই পদের জন্য আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। অন্যদিকে, বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে অবকাশকালীন বেঞ্চে মামলা করেন সংশ্লিষ্ট দফতরের কয়েকজন কর্মী। দ্রুত শুনানির আর্জি জানানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও বিচারপতি পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।

শিক্ষক থেকে পুরকর্মী, রাজ্যে নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে তদন্তও করছেন কেন্দ্রীয় সংস্থা। এরই মধ্যে সামনে আসে বন দফতরের দুর্নীতির অভিযোগ।

২০২০ সালে বন সহায়ক নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। অভিযোগ, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ভুল-ত্রুটি ছিল। আইন না মেনেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সংগঠিত করা হয়েছিল বলেও দাবি করেন মামলাকারীরা। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়নি বলে অভিযোগ। এছাড়া ব্যক্তিগতভাবে এসএমএস করে চাকরি পাওয়ার কথা জানানো হয়েছিল বলেও দাবি করেন মামলাকারীরা।

সিঙ্গল বেঞ্চে শুনানির পর হাইকোর্ট জানিয়েছিল, এসএমএসের মাধ্যমের নিয়োগের কথা জানানোর সিদ্ধান্ত সঠিক নয়। ওয়েবসাইটে যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নিয়োগের কথা জানানো হয়, ওয়েবসাইটেই সেই তালিকা প্রকাশ করার করতে হবে বলে জানায় আদালত। শুনানির পর বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, নতুন করে ইন্টারভিউ নিতে হবে ও দুই মাসের মধ্যে নতুন করে ইন্টারভিউ নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। মে মাসের শুরুর দিকেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।