কলকাতা: ভোটের আগেই বন সহায়ক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে ‘কারসাজির’ অভিযোগ তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিশানায় ছিলেন সদ্য তৃণমূল এবং বনমন্ত্রক ত্যাগী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো দুর্নীতির তদন্তে সায়ও দিয়েছিল মমতার মন্ত্রিসভা। নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পরই নাম না করে পূর্বসুরির বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সোমবার অরণ্য ভবনে এসেই বিষয়টি নিয়ে প্রধান সচিবের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।
এ দিন TV9 বাংলার মুখোমুখি হয়ে তদন্তের বিষয়ে মুখ খোলেন জ্যোতিপ্রিয়। তিনি বলেন, “তদন্ত তদন্তের মতো চলছে। এটা নিয়ে আমি বিশেষ মাথা ঘামাতে চাই না। তবে আমি আজকেই প্রধান সচিবকে জানিয়ে দিয়েছি, তদন্তে যেন কোনও গাফিলতি না হয়। স্বচ্ছভাবে তদন্ত হবে। যদি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত করতে হয় তাহলে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর বা মুখ্যসচিবের সঙ্গে কথা বলা হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নভাবে এই দফতর চালাতে হবে। এবং যে কাণ্ডকারখানা হয়েছে তা তদন্তে উঠে আসবে। কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে সরকার যা বিচার নেবে তাই হবে।”
প্রসঙ্গত, রাজীবের দলত্যাগ করার পর ভোটের মাসদেড়েক আগে আলিপুরদুয়ারের এক জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম বন সহায়ক পদে নিয়োগে ‘কারসাজির’ অভিযোগ তুলেছিলেন। নাম না করলেও তাঁর নিশানায় ছিলেন মন্ত্রক ত্যাগী রাজীব। যার পাল্টা দিতে দেরি করেননি ডোমজুড়ের প্রাক্তন বিধায়ক। তিনিও সেই দিনই গুড়াপের সভা থেকে বলেন, “আমি মুখ খুললে বটগাছ নড়ে যাবে। সমুদ্র উথালপাথাল হয়ে যাবে।”
আরও পড়ুন: হাইকোর্টে ধাক্কা কেন্দ্রের, ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সিট গঠনের আবেদন খারিজ
যদিও তারপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। ডোমজুড় বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হয়েও বিরাট ব্যাবধানে ভোটে হেরেছেন রাজীব। ঠিক তারপরই নতুন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ পেয়েছে তাঁর কণ্ঠে। ফলে তিনি ফের ফুল পরিবর্তন করবেন কি না সেটা নিয়েও জল্পনা বাড়তে শুরু করেছে। তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নব নিযুক্ত বনমন্ত্রীর এহেন হুঁশিয়ারি কিছুটা হলেও চাপ বাড়াবে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর। এ বিষয়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়ে ফোন করা হয়েছিল। তবে তাঁর মোবাইল ‘নট রিচেবল’।