বরাহনগর: তাঁর বিরুদ্ধে এক মহিলা সাংবাদিককে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। ওই মহিলা সাংবাদিক বরাহনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তার ভিত্তিতে সোমবার বরাহনগর থানায় ডেকে পাঠানো হল প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্যকে। পুলিশের ফোন পেয়ে বাম নেতা জানান, অবশ্যই যাবেন তিনি। এরপরই একজনের মোটরবাইকে চেপে বরাহনগর থানায় পৌঁছে যান এই বাম নেতা।
গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় এক মহিলা সাংবাদিক তন্ময় ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, এই বাম নেতার ইন্টারভিউ নিতে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁর ক্যামেরাপার্সন যখন বলছিলেন কোথায় বসতে হবে, তখন তন্ময় ভট্টাচার্য বলতে থাকেন, কোথায় বসব। বলেই তাঁর কোলে বসে পড়েন। ওই মহিলা সাংবাদিকের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বামেদের কটাক্ষ করেন।
কয়েকঘণ্টার মধ্যে সিপিএমের তরফে জানানো হয়, তন্ময় ভট্টাচার্যকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরপর বিষয়টি খতিয়ে দেখবে দলের ইন্টারন্যাল কমপ্লেন কমিটি। তারা যা সুপারিশ করবে, তার উপর ভিত্তি করে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। গতকাল রাতেই দলের এই সিদ্ধান্তকে দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেন তন্ময়। তিনি বলেন, “একটি মেয়ে অভিযোগ করা মানেই যে সাসপেন্ড করতে হবে, দল যদি এটা মনে করে, তাহলে ঠিক কাজ করেছে। কাল অন্য কারও বিরুদ্ধে যদি কোনও মেয়ে অভিযোগ করে, তাঁকেও সাসপেন্ড করবে। এই রুটিনে যদি দল চলে যায়, তাহলে আমার কিছু বলার নেই। আমি আশা করেছিলাম, দল আমার কথা শুনবে।” ওই মহিলা সাংবাদিকের অভিযোগ প্রসঙ্গে গতকাল তিনি বলেন, “চক্রান্ত, ফাঁসানো এখনই কিছু বলছি না। অভিযোগটা শুনে আমি স্তম্ভিত। একটা কুরুচিকর, পরিকল্পিত কুৎসা।”
মহিলার অভিযোগের প্রেক্ষিতে এদিন বরাহনগর থানায় ডেকে পাঠানো হয় এই বাম নেতাকে। একজনের বাইকে চেপে থানায় পৌঁছন তিনি। থানায় ঢোকার আগে তিনি বলেন, “এখন কিছু বলব না। থানা থেকে বেরিয়ে যা বলার বলব।” এ কথা জানিয়ে তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে কথা বলতে থানায় ঢুকে পড়েন তিনি।