কলকাতা: সংঘাতের মেঘ কাটছে না কিছুতেই। কখনও রাজ্যপাল তথা রাজ্য বিশ্ববিদ্য়ালয়গুলির আচার্য সি ভি আনন্দ বোসকে সংবিধান বোঝাচ্ছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী (CM of West Bengal), কখনও আবার পাল্টা দিচ্ছে রাজভবন। রাজ্যের শাসকদলের স্পষ্ট অভিযোগ, রাজ্যে সমান্তরাল প্রশাসন চালাচ্ছেন রাজ্যপাল। সংবিধানিক ক্ষমতাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নিজের মতো কাজ করে চাইছেন। সাম্প্রতিককালে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য নিয়োগ নিয়ে দফায় দফায় চরমে উঠেছে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। এরইমধ্যে শুক্রবার রাজভবনের সামনে প্রতিবাদের ডাক প্রাক্তন উপাচার্যদের।
সূত্রের খবর, শুক্রবার বেলা ১১ টা থেকে রাজভবনের সামনে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের ডাক দিয়েছেন উপাচার্যরা। হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাজভবনে নামবেন শিক্ষাবিদরা। প্রসঙ্গত, রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হবেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। সিদ্ধান্ত হয়েছিল গত বছরই। ২০২২ সালের জুন মাসে পাশও হয়েছিল বিল। পাঠানো হয়েছিল তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছে। তিনি সই করেননি। কিন্তু, মসনদে বসার পর সেই বিলে সই করেননি বাংলার নতুন রাজ্যপালও। কেন বিলে সই করছেন না? কেন সিস্টেম ভাঙছেন রাজ্যপাল? প্রশ্ন প্রাক্তন উপাচার্যদের। এ নিয়েই শুক্রবার তাঁরা রাজভবনের সামনে বিক্ষোভে সামিল হতে চলেছেন।
প্রসঙ্গত, এ নিয়ে আগে একাধিকবার ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। কিছুদিন আগেই ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেছিলেন, “ সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট বলছে কোনও রাজ্যপালই একটা বিল সই না করে দীরঘদিন ফেলে রাখতে পারেন না। এর জন্য ৬ মাসের সময় ধার্য রয়েছে। এ বিল দেওয়া হয়েছে প্রায় ১ বছরের বেশি আগে। না সই করলে ফেরত পাঠান।” প্রসঙ্গত, সংবিধানের ২০০ নম্বর ধারা বলছে, কোনও রাজ্যের রাজ্যপাল এই বিল নিজে অনুমোদিত করতে পারেন। চাইলে সই না করে ফেরতও পাঠিয়ে দিতে পারেন। মনে করলে পাঠাতে পারেন রাষ্ট্রপতির কাছেও। কিন্তু, কেন কোনটাই করছেন না তিনি? এটাই প্রশ্ন রাজ্যের শাসকদলের।