Fraud Case: রেজিস্ট্রি অফিসেও থাবা মুঙ্গের গ্যাংয়ের? বায়োমেট্রিক তথ্য হাতিয়ে হয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার টাকা চুরি?

Sourav Dutta | Edited By: জয়দীপ দাস

Sep 08, 2023 | 12:15 AM

Fraud Case: প্রসঙ্গত, জমি, বাড়ির রেজিস্ট্রি করতে গেলে গ্রাহকদের দিতে হয় বায়োমেট্রিক তথ্য। কিন্তু, রেজিস্ট্রি অফিসে জমা হাওয়া গ্রাহকদের বায়োমেট্রিক তথ্য কতটা সুরক্ষিত? খোঁজ নিল টিভি-৯ বাংলা।

Fraud Case: রেজিস্ট্রি অফিসেও থাবা মুঙ্গের গ্যাংয়ের? বায়োমেট্রিক তথ্য হাতিয়ে হয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার টাকা চুরি?
উদ্বেগ বাড়ছে পুলিশেরও
Image Credit source: TV-9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: রেজিস্ট্রি অফিসের ক্লার্ক ফারুক গাজির অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও এক লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। বায়োমেট্রিক কেলেঙ্কারির জন্য জমি কেনাবেচাতেও ভাটা। এর ফলে সরকারেরই রাজস্বের ক্ষতি হচ্ছে, মনে করছেন রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মীরাও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রযুক্তির আশীর্বাদই এখন প্রতারকদের হাতিয়ার। আধার নির্ভর লেনদেন প্রথাকে কাজে লাগিয়ে গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে টাকা! নেপথ্যে বায়োমেট্রিক তথ্য চুরি। 

ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট হোক কিংবা জমি-বাড়ির রেজিস্ট্রেশন। সব ক্ষেত্রেই আধার লিঙ্ক বাধ্যতামূলক। আবার আধারের সঙ্গেই গ্রাহকের বায়োমেট্রিক তথ্য যুক্ত থাকে। আর সেই তথ্য চুরি করেই পকেট ভাড়ি করছে প্রতারকরা। গত কয়েকদিন ধরে টিভি নাইন বাংলায় আধার কার্ড ভিত্তিক আর্থিক লেনদেনের খবরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে নানা মহলে। 

প্রসঙ্গত, জমি, বাড়ির রেজিস্ট্রি করতে গেলে গ্রাহকদের দিতে হয় বায়োমেট্রিক তথ্য। কিন্তু, রেজিস্ট্রি অফিসে জমা হাওয়া গ্রাহকদের বায়োমেট্রিক তথ্য কতটা সুরক্ষিত? খোঁজ করতে টিভি নাইন বাংলা পৌঁছে গিয়েছিল রাজারহাটের রেজিস্ট্রি অফিসে। কিন্তু, খোঁজ করতে গিয়ে সামনে এল চোখ কপালে ওঠার মতো বিস্ফোরক তথ্য। কারণ, সেখানে ‘প্রতারণার’ শিকার খোদ রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মীরাই! কিন্তু কীভাবে? 

রেজিস্ট্রি অফিসের এক কর্মী বলছেন, “কীভাবে হ্যাকাররা হ্যাক করছে সেটা তো আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব নয়। কিন্তু, আমাদের মনে হয় আমরা নিজেরা যে বায়োমেট্রিক তথ্য দিচ্ছি সেই তথ্য অন্য কোথাও চলে যাচ্ছে।” আর একজন বলছেন, এ ক্ষেত্রে হ্য়াকারদের হাতিয়ার ডিজিট্যাল ফিঙ্গারপ্রিন্ট। ওটাকে হাতিয়ার করেই সব হচ্ছে। যদিও অন্য মত আলিপুরের ডিএসআর দেবাশিস ধরের। তিনি বলেন, “আমাদের এখান থেকে লিক হওয়ার কোনও জায়গা নেই। কর্তৃপক্ষের কাছে এটা মৌখিকভাবে জানিয়েছি। আগামীদিনে তা হয়তো লিখিতভাবেও জানাব।” 

সূত্রে খবর, চলতি বছরের প্রথম দিন থেকে ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত কলকাতা পুলিশের কাছে ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ৪০টি অভিযোগ জমা পড়েছে। সাধারণ মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা লুট হয়েছে। তেমনই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন বহরমপুরের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কল্যাণকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ও। যা নিয়েও শোরগোল শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, সাইবার প্রতারণার ক্ষেত্রে বারবার জামতারা গ্যাংয়ের কথা উঠে আসে। কিন্তু, তার সঙ্গে এবার যুক্ত হয়েছে মুঙ্গের গ্যাংয়ের নাম। কারণ কী? অ্যাকাউন্ট থেকে দশ হাজার টাকা উধাও হয়েছিল। কিন্তু, তারপরই ওই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের মোবাইলে আসে একটি মেসেজ। সেই মেসেজের নীচে লেখা ছিল টাকার প্রাপকের নাম। দেখা যায় লেখা কুণালকুমার, মুঙ্গের! আর এখানেই কারচুপির সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে মুঙ্গেরের নাম। যদিও এখন দেখার পুলিশের সাইবার তদন্তের গতিপ্রকৃতি কোনদিকে যায়।  

Next Article