কলকাতা: উচ্চমাধ্যমিকে চালু হতে চলেছে ওএমআর শিট। বেশ কিছুদিন ধরে এই নিয়ে নানা জল্পনা শোনা যাচ্ছিল বাংলার শিক্ষামহলে। প্রস্তাব নিয়েও চলছিল জোর চর্চা। অবশেষে সেই জল্পনাই সত্যি হল। ২০২৬ সাল থেকে উচ্চমাধ্যমিকের (Higher Secondary Exam) সেমেস্টারের পরীক্ষায় ওএমআর চালুর বন্দোবস্ত একরকম পাকা হয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে শিক্ষা দফতরের সঙ্গে বৈঠক করে ফেলেছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। সূত্রের খবর, ঠিক হয়েছে ২০২৬ সালে দুটো সেমিস্টারে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা হবে। নয়া শিক্ষানীতির আধারেই নেওয়া হবে পরীক্ষা। তার মধ্যে প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা হবে মাল্টিপেল চয়েস প্রশ্নত্তোর ফর্ম্যাটে। এই পরীক্ষাই OMR শিটে নেওয়া হবে বলে খবর। এ খবর প্রকাশ্য়ে আসতেই তা নিয়ে বিস্তর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে শিক্ষামহলে।
উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ বলছে সর্বভারতীয় স্তরে যে সমস্ত পরীক্ষাগুলি হয় সেগুলির সবই প্রায় ওএমআর শিটে দিতে হয়। তাই বাংলার পড়ুয়ারা যাতে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে ভাল ফল করতে পারে, ওএমআর ফরম্যাটে পরীক্ষা দিতে গিয়ে যাতে কোনও সমস্যার মধ্যে পড়তে না হয় তাই স্কুল স্তর থেকেই তাঁদের OMR শিটের সঙ্গে অভ্যস্ত করানো হবে। সে কারণেই এই পদক্ষেপ। ইতিমধ্যেই শিক্ষা মহলের একটা বড় অংশ এই নয়া সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
এদিকে নিয়োগ দুর্নীতির খবর সামনে আসার পর থেকে লাগাতার সামনে এসেছে ওএমআর শিটে কারচুপির খবর। সে কারণেই আবার একাংশের শিক্ষাবিদ এই নয়া সিদ্ধান্ত নিয়ে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন। ঠিক করে ওএমআর শিটের মূল্যায়ন হবে কিনা, গোটা প্রক্রিয়ায় সুষ্ঠভাবে হবে কি না তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যাচ্ছে অনেককে। ওএমআর শিটে উত্তর দেওয়ার একটা নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া আছে। তা মেনে চলতে হয়। ভুলভাবে পয়েন্ট আউট করলে, বা দাগ দিলে মেলে না নম্বর। তাই এই নয়া প্রক্রিয়ার সঙ্গে ছাত্ররা দ্রুত কতটা অভ্যস্ত হতে পারবে তা নিয়েও দেখা দিয়েছে উদ্বেগ। যদিও শিক্ষাবিদদের একাংশ মনে করছেন দিনের শেষে সর্বভারতীয় স্তরের পরীক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্তে উপকৃত হবেন পড়ুয়ারা। যদিও শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, পরীক্ষায় বসার আগে এ বিষয়ে পড়ুয়াদের যাবতীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ঠিক করা হবে ট্রেনিং মডিউল, আয়োজন করা হতে পারে মক টেস্টের। কীভাবে গোটা প্রক্রিয়া হবে ইতিমধ্যেই তার খসড়াও তৈরি করতে শুরু করে দিয়েছে উচ্চমাধ্য়মিক শিক্ষা সংসদ।