সমস্যা বাড়ছে, দাবি হচ্ছে জোরাল! শিয়ালদা মেইন লাইনে শীঘ্রই স্পেশ্যাল পরিষেবা পূর্ব রেলের
Special Train: দ্রুত এই পরিষেবা চালু করার ভাবনা পূর্ব রেলের।
ফাইল ছবি
লোকাল ট্রেন কবে চলবে, তা নিয়ে রয়েছে হাজারও প্রশ্ন। প্রত্যেক দিন স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেন চললেও তাতে নিত্যযাত্রীরা উঠে পড়ছেন। অনেক সময় বাঁদুরঝোলা ভিড় হচ্ছে। ভিড়ে সামাল দিতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে রেল পুলিশকে। একাধিক স্টেশনে যাত্রীদের বিক্ষোভ, ইটবৃষ্টি-এই সবই ঘটেছে গত কয়েকদিনের বাংলায়।
এদিকে স্বাস্থ্যবিধির কথা মাথায় রেখে এখনই ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়নি রাজ্য সরকার। তবে বেশ কয়েকদিন সবজির মূল্যবৃদ্ধি চিন্তা বাড়িয়েছে প্রশাসনের। সবজির দাম কার্যত আকাশছোঁয়া হচ্ছে। লকডাউনের বাজারে মূল্যবৃদ্ধির আঁচে জনজীবন তেতেপুড়ে যাচ্ছে। বাজারে ঢুকলে কাল ঘাম ছুটছে সাধারণ ক্রেতার।
পটল, ঢ্যাঁড়স, বেগুন, বরবটি, উচ্ছে কোনওটা কেজি প্রতি ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কোনওটা আবার কেজিতে সেঞ্চুরিও হাঁকিয়ে ফেলছে। তার উপর কোনও কোনও বিক্রেতা আবার অতিরিক্ত মুনাফা করতে গিয়ে আরও চড়াচ্ছেন দাম।
বাজারঘুরেরা বলছেন, এদিকে, জ্বালানির দাম বেড়েছে, তার ওপর ট্রেন বন্ধ। তাতেই সবজির দাম আরও অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়েছে। সাধারণত কলকাতায় দুই ২৪ পরগনা বা নদিয়া, মুর্শিদাবাদ থেকে প্রচুর সবজি আসে। হলদিবাড়ি থেকেও আসে সবজি। কিন্তু ট্রেন বন্ধ থাকায় সবজি যোগান কম হচ্ছে। জেলার মাণ্ডি থেকে গাড়ি করে সবজি আনা হচ্ছে। তাই আকাশছোঁয়া দাম। থলে তো ভরছেই না, অর্ধেক থলে হাতে ফাঁকা পকেটে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে মধ্যবিত্তদের।
এই পরিস্থিতি সবজি ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে বিশেষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব রেল। দিনে দুটি করে ট্রেন চালানো হবে। শিয়ালদা মেইন লাইনে দিনে দুটি করে চলবে এই ট্রেন। এতদিন পর্যন্ত সবজি নিয়ে আসার কোন অনুমতি ছিল না স্পেশাল লোকাল ট্রেনে।