কলকাতা: শহরে এবার বারাণসীর ধাঁচে গঙ্গাআরতি। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাজেকদমতলা ঘাটে এই নয়া উদ্যোগের সূচনা করবেন। থাকবেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, চেয়ারপার্সন মালা রায়, ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ, মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার-সহ অন্যান্যরা। থাকবেন স্বরাষ্ট্রসচিব বিপি গোপালিকা। কিছু মাস আগেই বারাণসীতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি গঙ্গাআরতি করেছিলেন। ফিরে এসেই কলকাতাতেও গঙ্গাবক্ষে আরতি করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন। মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে দ্রুত এই উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই উদ্যোগ নেয় কলকাতা পুরসভা। গোটা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পদক্ষেপ করা হয়। এক সপ্তাহ ধরে বাজেকদমতলা ঘাটে চলে মহড়া। কলকাতা পুলিশের তরফেও পৃথক ভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হয়। ঘাটকে নতুন করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেছেন খোদ মেয়র। বৃহস্পতিবার থেকে সেই গঙ্গা আরতি শুরু করা সম্ভব হচ্ছে। ওই দিন বিকেল চারটে নাগাদ ১৫ জন পুরোহিতের উপস্থিতিতে শুরু হবে এই গঙ্গা আরতি। গঙ্গাবক্ষে দেবী গঙ্গার আবক্ষ মূর্তিও উন্মোচন করা হবে।
মুখ্যমন্ত্রী গঙ্গা আরতির সূচনা করে দিলে তা আগামী দিনে পর্যটকদের দেখার জন্য খুলে দেওয়া হবে। জানা যাচ্ছে আগামীতে একটি লেজার শো-রও আয়োজন করা হবে।
জানা যাচ্ছে, গঙ্গাআরতির কথা কেবল বাজেকদমতলা ঘাট নয়, বাবুঘাট ও প্রিন্সেপ ঘাটের কথাও ভাবা হয়েছিল। কিন্তু পর্যটক ও সাধারণ মানুষদের নিরাপত্তার কথা ভেবে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার ক্ষেত্রে পিছিয়ে যায় পুরসভা। বাজেকদমতলা ঘাটকেই চূড়ান্তভাবে বেছে নেওয়া হয়। কলকাতা পুরসভা তথা মুখ্যমন্ত্রী আশাবাদী, আগামীদিনে এই গঙ্গাআরতি ভিন রাজ্যের পর্যটেকদেরও নজর কাড়বে।
প্রসঙ্গত, তবে গঙ্গাআরতি নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। গঙ্গাআরতি করতে চেয়ে আগে পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু পুলিশ সেই অনুমতি দেয়নি। পুলিশের চোখ এড়িয়ে নিরাপত্তার ঘেরাটোপ পেরিয়ে গঙ্গাবক্ষে আরতি করতে গিয়ে গ্রেফতার হতে হয়েছিল বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে।