কলকাতা: রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা কলকাতা পুরনিগমের (Kolkata Municipal Corporation) মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) গতকাল রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘভাতা (Dearness Allowance) নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, তার জেরে তীব্র অসন্তোষ তৈরি হয়েছে পুরনিগমের সরকারি কর্মচারীদের একাংশের অন্দরে। ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্যের প্রতিবাদে সরব হয়েছেন বামপন্থী ক্লার্কস ইউনিয়নের কর্মীরা। কলকাতা পুরনিগমে পেন ডাউন (Pen Down) করে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন সরকারি কর্মচারীরা। বকেয়া ডিএ-র দাবি রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের একাংশের বিক্ষোভকে কটাক্ষ করে মঙ্গলবার ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, ‘না পোষালে ছেড়ে দিন।’ সরকারের কাছে কোনটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেই ব্যাখ্যাও গতকাল নিজেই দিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
মঙ্গলবার কলকাতার মহানাগরিক প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘কোনটা প্রাধান্য হওয়া উচিত? যে লোকটা রেশন পাচ্ছেন না তাঁকে বিনামূল্যে রেশন পৌঁছে দিয়ে তাঁর মুখে অন্ন তুলে দেওয়া, নাকি যিনি ৪০ হাজার টাকা বেতন পান তাঁর কেন ৬০ হাজার টাকা হচ্ছে না তা আগে দেখা? কেন্দ্রের সরকার যখন অনেক টাকা দিচ্ছে তাহলে সেখানে গিয়েই যোগ দিন।’ মেয়রের এই মন্তব্যের পর থেকেই শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। প্রতিবাদে সরব হয়েছেন ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনরত সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অবস্থানকারীরাও।
এবার প্রতিবাদে সামিল পুরনিগমের সরকারি কর্মচারীদের একাংশও। বামপন্থী ক্লার্কস ইউনিয়নের কর্মীরা বলছেন, ‘ফিরহাদ হাকিম যে বাজে মন্তব্য করেছেন, বেতন যাঁদের পোষাচ্ছে না, তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাজ করুন, তার প্রতিবাদে পেন ডাউন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। পুরনিগমের আন্দোলনরত সরকারী কর্মচারীদের প্রশ্ন, ‘বেতন কি উনি নিজের পকেট থেকে দেন নাকি? নাকি ওনার পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে দেন? বেতন সরকারি কর্মচারীদের হকের টাকা। যদি এতটাই ক্ষমতা থাকে, হাইকোর্টে দাঁড়িয়ে বলুন না, যাঁরা ডিএ চাইছে, তাঁদের কেন্দ্রীয় সরকারের কাজ করতে।’ ফিরহাদ হাকিমের উদ্দেশে আন্দোলনকারীদের হুঁশিয়ারি, ‘যদি বেতন দিতে না পারেন, চেয়ার ছেড়ে চলে যান।’