কলকাতা: রবিবার রাতে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে গার্ডেনরিচের একটি পাঁচতলা বাড়ির অংশ। পাশে থাকা ঝুপড়িতে ভেঙে পড়ায় মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। প্রশ্ন উঠেছে, ওই বাড়ি তৈরির জন্য আদৌ কি অনুমতি ছিল? সব নিয়ম মেনে কি তৈরি হচ্ছিল ৫ তলা বাড়ি? সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট এবার জমা পড়ল কলকাতা পুরনিগমের মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কাছে। আজ, মঙ্গলবারই সেই রিপোর্ট জমা পড়েছে বলে সূত্রের খবর। ওই বাড়ির জমি ও অনুমোদন সংক্রান্ত সব তথ্য সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন গার্ডেনরিচের ওই অংশে কোনও জলাশয় ছিল কি না। তবে কলকাতা পুরনিগমের মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার জানিয়েছেন, রিপোর্টে বলা হয়েছে যে জায়গায় বাড়িটি ভেঙেছে, সেখানে জলাশয় ছিল না। পুরনিগমের পরিবেশ বিভাগের তরফ থেকে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কাছে।
তবে নির্মাণটি বেআইনি কি না, সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। ফিরহাদ হাকিম নিজেও কার্যত স্বীকার করে নিয়েছিলেন যে বাড়িটি তৈরির ক্ষেত্রে অনুমোদন ছিল না। সূত্রের খবর পরিবেশ বিভাগের আইন ভঙ্গ করে যে বাড়ি তৈরি করা হচ্ছিল, সেই বিষয়টিও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রশ্ন উঠেছে, প্রশাসন কি কিছুই জানত না? কীভাবে এমন জনবসতির গায়ে উঠল বহুতল। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে অনেকেই অভিযোগ করছেন, দোতলার ভিতের ওপরেই তৈরি হয়েছে পাঁচতলা বিল্ডিং। এলাকার লোকজন বলছেন, পুরকর্মীরা জেনেও কিছু আটকাতে পারতেন না। অভিযোগ উঠেছে, সহযোগিতা করত না পুলিশ।