Gold Seized : পায়ুদ্বারে লুকিয়ে সোনা পাচারের চেষ্টা, কীভাবে ধরা পড়ল কলকাতা বিমানবন্দরে?

TV9 Bangla Digital | Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Jun 14, 2022 | 8:11 PM

Gold Seized : বিমানবন্দর থেকে গ্রিন চ্যানেল ব্যবহার করে বাইরে বেরোনোর সময় দুই ব্যক্তি মেটাল ডিটেক্টর এড়িয়ে যান। অন্যদিক দিয়ে বেরোনোর চেষ্টা করছিলেন। তখনই সন্দেহ হয় এয়ার ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের কর্তাদের।

Gold Seized : পায়ুদ্বারে লুকিয়ে সোনা পাচারের চেষ্টা, কীভাবে ধরা পড়ল কলকাতা বিমানবন্দরে?
কলকাতা বিমানবন্দরে বাজেয়াপ্ত সোনা। ছবিটি প্রতীকী

Follow Us

কলকাতা : সোনা পাচারের (Gold Smuggling) নানা ফন্দি। কখনও কখনও তা চমকে দেওয়ার মতো। কখনও সোনাকে গলিয়ে ব্যান্ডেজের ভিতরে মলমের আকারে পাচারের চেষ্টা। কখনও প্লাস্টিকের প্যাকেটে মুড়ে পাচার। কলকাতা বিমানবন্দরে সোনা পাচারের চেষ্টা করতে গিয়ে ধরা পড়লেন দু’জন। তাঁদের শরীরের যে জায়গা থেকে সোনা উদ্ধার হল, তা চমকে দেওয়ার মতো। তাঁদের পায়ুদ্বার থেকে উদ্ধার হল প্রায় দুই কেজি ওজনের সোনা। যার বাজারমূল্য এক কোটি টাকার বেশি। পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ ই-সিগারেট উদ্ধার হল বিমানবন্দরে।

রবিবার মায়ানমার থেকে একটি বিমান কলকাতা বিমানবন্দরে নামে। শুল্ক দফতর জানিয়েছে, অন্যদের সঙ্গে মায়ানামারের দুই বাসিন্দা সেই বিমান থেকে নামেন। বিমানবন্দর থেকে গ্রিন চ্যানেল ব্যবহার করে বাইরে বেরোনোর সময় তাঁরা মেটাল ডিটেক্টর এড়িয়ে যান। অন্যদিক দিয়ে বেরোনোর চেষ্টা করছিলেন। ব্যাপারটা লক্ষ্য করেন এয়ার ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের কর্তারা। তাঁরা ওই দুই যাত্রীকে আটক করেন। তারপর তাঁদের তল্লাশি নেওয়া হয়। প্রথমে কিছুই পাওয়া যায়নি। তারপর তাঁদের পায়ুদ্বার থেকে প্রায় দু’কেজি সোনা উদ্ধার হয়। যার বর্তমান বাজারমূল্য এক কোটি টাকারও বেশি।

সোনা বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি ওই দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের আদালতে তোলা হলে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। বিদেশ থেকে কেন ভারতে সোনা পাচার হয়? বিশ্বের একাধিক দেশে সোনার দাম ভারতের থেকে কম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেরকম কয়েকটি দেশ থেকে সোনা নিয়ে ভারতে পাচার করে পাচারকারীরা। তার জন্য তারা একাধিক পন্থা অবলম্বন করে থাকে। তবে পাচারকারীদের ধরতে সবসময় সজাগ থাকেন এয়ার ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের কর্তারা।

অন্যদিকে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার কলকাতা বিমানবন্দরে দুবাই থেকে আসা এক যাত্রীকে আটক করে শুল্ক দফতর। ওই যাত্রীর কাছ থেকে ১২৩০ পিস বিদেশি ই-সিগারেট পাওয়া যায়। যার বাজারমূল্য প্রায় তিরিশ লক্ষ টাকা। চোরাচালানের জন্য ওই ব্যক্তি কলকাতায় লুকিয়ে ই-সিগারেট এনেছিলেন বলে মনে করছেন শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা।

Next Article