Gopal Dalapati: টাকার অঙ্ক ১০০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে! TV9 বাংলার মুখোমুখি হয়ে বিস্ফোরক দাবি গোপাল দলপতির
Gopal Dalapati: কাকু আছে। কোনও অসুবিধা নেই। যোগাযোগ একদম হেড কোয়ার্টারে। এমনটাই নাকি বলতেন কুন্তল ঘোষ।
কলকাতা: যে কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, তৃণমূলের সেই যুবনেতা প্রথম থেকেই গোপাল দলপতির (Gopal Dalapati) নাম সামনে এনেছেন। তবে গোপাল কিন্তু গোপাল নন! তিনি নাকি আর্মান গাঙ্গুলি। বছর কয়েক আগে নিজের নাম পাল্টে ফেলেছেন তিনি। TV9 বাংলার মুখোমুখি হয়ে গোপাল দলপতি বলেন, আমার নাম গোপাল দলপতি কিন্তু প্রয়োজনে নাম পালটে আর্মান গাঙ্গুলি করে নিয়েছি। তাপস মণ্ডলের (Tapas Mondal) কথা মতো কুন্তলের কাছে চাকরি প্রার্থীদের নিয়ে যাওয়াই যে তাঁর কাজ ছিল, সেটাও স্বীকার করেছেন তিনি। তবে গোপালের দাবি, শুধু ১৯ কোটির অঙ্কে আটকে থাকলেই হবে না। টাকার অঙ্ক ১০০ কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে দাবি করেছেন তিনি।
‘কুন্তলের ফ্ল্যাট রাজকীয়’
সাক্ষাৎকারে গোপাল জানিয়েছেন, ‘দাদা’ অর্থাৎ তাপস মণ্ডল টাকা দিতেন কুন্তলকে, তিনি পাশে থাকতেন। তবে কোথাও টাকা দিতে যাননি বলে উল্লেখ করেছেন গোপাল। কুন্তল প্রসঙ্গে গোপাল বলেন, ‘কুন্তলের ফ্ল্যাট রাজকীয়। কোনও সাধারণ মানুষের এরকম ঘর হতে পারে না। কুন্তলের হাবভাব, গাড়ি, বাংলো দেখেই বোঝা যেত বিলাসবহুল জীবনযাপণ করতেন তিনি।’
‘প্রার্থী পিছু ৬ থেকে ৮ লক্ষ টাকা’
আর কুন্তল ঘোষ যে চাকরি করিয়ে দিতে পারেন, সেটা তাপসের কাছ থেকেই জেনেছিলেন গোপাল। তাঁর দাবি, প্রতি প্রার্থী পিছু ৬ থেকে ৮ লক্ষ টাকা করে দিতে হত কুন্তলকে। তার বদলে চাকরি পাইয়ে দিতেন তিনি। দর কষাকষি হত কি না, তা নাকি জানা নেই গোপালের। কিন্তু এত বিশ্বাস করে কেন টাকা দেওয়া হত কুন্তলকে? গোপাল দলপতির দাবি, দুটি মেরিট লিস্টে একাধিক প্রার্থীর চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন কুন্তল। তাই তাঁকে প্রত্যেকেই বিশ্বাস করতেন।
কালীঘাটের কাকু…
কালীঘাটের কাকুর কথা আগেও বলেছেন গোপাল দলপতি। TV9 বাংলার মুখোমুখি হয়ে গোপাল ফের সেই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির কথা উল্লেখ করেন। তিনি জানান, কালীঘাটের কাকুকে টাকা দিলেই কাজ হয়ে যাবে, এ কথা জানতেন তিনি। তবে এই কাকু কে, তা জানতেন না তিনি। কুন্তল নাকি বলতেন, কাকু আছে। কোনও অসুবিধা নেই। যোগাযোগ একদম হেড কোয়ার্টারে।
‘হাজারো কুন্তল আছে’
গোপালের আরও দাবি, কুন্তল ঘোষ একা নন, এরকম হাজারো কুন্তল আছে। এরকম অনেকের মাধ্যমেই চাকরির চেষ্টা হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। গোপাল দলপতির দাবি, শুধুমাত্র তাপস বাবুই যদি ১৯ কোটি দিয়ে থাকেন, তাহলে এরকম পাঁচজন থাকলেও টাকার অঙ্ক কত হচ্ছে, তা অনুমান যোগ্য।
তবে তাপস মণ্ডলের সঙ্গে বিজেপির যোগাযোগ আছে বলে মনে করেন না তিনি। তাঁর দাবি, উল্টোপাল্টা কথা বলছেন কুন্তল, তদন্তকে অন্য দিকে ঘুরিয়ে দিতে চাইছেন। গোপালের সাফ বক্তব্য, ‘আমি কোনও অপরাধ করিনি। বলা হচ্ছিল, দেশের বাইরে চলে গিয়েছি, তাই নিজেই যোগাযোগ করি।’