Goutam Pal: ‘মানিকের জুতোয় পা গলাবেন না…’, প্রাথমিকের পর্ষদ সভাপতি গৌতম পালকে কেন বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়?

Shrabanti Saha | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Mar 31, 2023 | 12:40 PM

Goutam Pal: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বর্তমান সভাপতি গৌতম পালকে পরামর্শ দিলেন বিচারপতি। ২০১৪ র প্রাথমিক টেটের শংসাপত্র সংক্রান্ত একটি মামলায় আজ আদালতে হাজির ছিলেন গৌতম পাল।

Goutam Pal: মানিকের জুতোয় পা গলাবেন না..., প্রাথমিকের  পর্ষদ সভাপতি গৌতম পালকে কেন বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়?
প্রাথমিক নিয়োগ মামলা

Follow Us

কলকাতা: মানিকের জায়গায় গৌতম। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নতুন সভাপতি হয়েছেন তিনি। দায়িত্ব অধিগ্রহণের পর তিনি সাংবাদিক বৈঠক করেই রীতিমতো চ্যালেঞ্জের সুরে বলেছিলেন, আর নিয়োগে কোনওরকমের দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে। সেই গৌতম পালকেই বিচারপতির অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পরামর্শ, ‘মানিক ভট্টাচার্যের ফেলে দেওয়া জুতোয় পা গলাবেন না…’। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বর্তমান সভাপতি গৌতম পালকে পরামর্শ দিলেন বিচারপতি। ২০১৪ র প্রাথমিক টেটের শংসাপত্র সংক্রান্ত একটি মামলায় আজ আদালতে হাজির ছিলেন গৌতম পাল।
সেই মামলাতেই এই মন্তব্য।

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আমার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাতারাতি সুপ্রিম কোর্ট যাওয়ার সময় টাকা থাকে, আইনজীবীদের পিছনে ৩০ লক্ষ টাকা খরচ করার সময় অসুবিধা হয় না, অথচ টেটের শংসাপত্র দেওয়ার সময় অর্থনৈতিক রীতিনীতির দোহাই!” এই পরই পর্ষদ সভাপতির উদ্দেশে এই মন্তব্য করে বিচারপতি। যদিও গৌতম পাল আশ্বাস দিয়েছেন, ৩০ শে এপ্রিলের মধ্যে ২০১৪ র পরীক্ষার্থীরা টেট শংসাপত্র পেয়ে যাবেন।

প্রসঙ্গত ২০১৯ সালে ‘১৪ সালের প্রাথমিকের টেট পরীক্ষার উত্তীর্ণ সব চাকরিপ্রার্থীকে শংসাপত্র দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় রায়ে জানিয়ে দিয়েছিলেন, আগামী ২ বছর শংসাপত্রের মেয়াদ থাকবে। সেসময় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য।

কেন্দ্রীয় সরকারের ২০১১ সালের নির্দেশিকা অনুযায়ী, টেট উত্তীর্ণদের সর্বাধিক সাত বছর পর্যন্ত বৈধতা সম্পন্ন শংসাপত্র দেওয়ার কথা বলেছিল নিয়ামক সংস্থা। ২০১৪ সালে প্রথমে লোকসভা ভোটের জন্য পরীক্ষা এক দফা পিছিয়ে যায়। তারপর আরও একটি আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ থেকে হুগলির পরীক্ষাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার পথে টেটের প্রশ্নপত্র বোঝাই বাস দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ফলে সেই দফাতেও পরীক্ষা পিছোয়। ২০১৫ সালে হয় সেই পরীক্ষা। ২০১৬ সালে সেপ্টেম্বরে সেই পরীক্ষার ফলপ্রকাশ হয়। এক লক্ষ ২৫ হাজার পরীক্ষার্থী পাশ করেন।২০১৭ সালে টেট উত্তীর্ণ বাকি চাকরিপ্রার্থীরা টেটে পাশের শংসাপত্র না পেয়ে আদালতে মামলা করেন।

Next Article