কলকাতা: বিক্ষোভ, আন্দোলনে অনেক সময়েই ক্ষতিগ্রস্ত হয় সরকারি বা বেসরকারি সম্পত্তি। এবার সেই সম্পত্তি নষ্টের ক্ষেত্রে আরও কঠোর আইন আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার বিধানসভায় পাশ হল সেই সংশোধনী বিল। এতদিন পর্যন্ত সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ দিতে হত অভিযুক্তকে। এবার শুধুমাত্র ক্ষতিপূরণ নয়, সংশোধনী বিলে বলা হয়েছে, যেখানে সরকারি বা প্রাইভেট সম্পত্তি ক্ষতি হবে, সেখানে অভিযুক্তের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কোনও সম্পত্তি লুঠ নয়, কোনও কিছু নষ্ট হলেই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে এই সংশোধনীতে উল্লেখ করা হয়েছে। মঙ্গলবার ওয়েস্ট বেঙ্গল মেনটেন্যান্স অব পাবলিক অর্ডার (অ্য়ামেন্ডমেন্ড) বিলটি পেশ করেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya)।
বিলে উল্লেখ করা হয়েছে, অভিযুক্ত হিসেবে যাঁকে চিহ্নিত করা হবে, তাঁকে আদালত ডাকবে। ১৮০ দিনের মধ্যে দোষ প্রমাণ না হলে ফেরত দিয়ে দিতে হবে বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তি।
এই বিষয়ে বক্তৃতা চলাকালীন বিজেপির বিধায়ক অম্বিকা রায় বন্দে ভারতের প্রসঙ্গ তুলেছিলেন। সম্প্রতি বন্দে ভারতেও একাধিকবার হামলার ঘটনা ঘটে। সেই প্রসঙ্গ তুলতেই চন্দ্রিমা বলেন, ‘বন্দে ভারতের বিতর্কের মধ্যে যেতে চাই না। কারণ ওটা রেলের বিষয়। আর ঘটনাস্থল আলাদা।’ তিনি বলেন, ‘সরকারের অধীনে যে মানুষেরা আছেন, তাঁদের সকলের জন্য এই বিল। সরকার আর বেসরকারি দুটি মিলিয়ে বৃত্ত সম্পূর্ণ হয়।’
গত সেপ্টেম্বরে শহরে এক রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছিল। কিছুদিন আগেও ধর্মতলায় অশান্তির ছবি দেখা যায়। গত অগস্টে বর্ধমান শহরে কার্জন গেট এলাকায় ভেঙে ফেলা হয়েছিল বিশ্ববাংলার লোগো। সবকটা ঘটনাই রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে। বিরোধীদের প্রশ্ন, রাজ্যে রাজনৈতিক বিক্ষোভ বাড়ছে। তা ঠেকাতেই কি আইন সংশোধনীর পথে হাঁটতে চাইছে সরকার? এই বিল প্রসঙ্গে বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘যাঁরা বিধানসভার সম্পত্তি নষ্ট করেছিলেন, তাঁরা কী বিল আনবে?’