কলকাতা: শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠার পর বৃহস্পতিবার রাতেই বিবৃতি দিয়েছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। এবার রাজ্যপাল দাবি করলেন, আরও একজনকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে রাজভবনে। অশুভ ও ঘৃণ্য পরিকল্পনা নিয়ে পাঠানো হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। রাজ্যপাল জানিয়েছেন, রাজভবনের হাতে এসেছে এ ব্যাপারে এক গোপন রিপোর্ট।
গতকাল, বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজভবনে পৌঁছনোর আগেই প্রকাশ্যে আসে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের কথা। রাজভবনের এক মহিলা অস্থায়ী কর্মী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলে হেয়ার স্ট্রিট থানার দ্বারস্থ হন। এই অভিযোগ সামনে আসার পর সরব হন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজার মতো রাজ্যের মন্ত্রীরা।
শুক্রবার রাজ্যপাল জানিয়েছেন, পাল্টা বিস্ফোরক রাজ্যপাল রাজনৈতিক উদ্দেশে আরও একজনকে পাঠানো হয়েছে রাজভবনে অশুভ ও ঘৃণ্য পরিকল্পনা চন্দ্রিমা রাজভবনের দরজা বন্ধ রাজভবনে আরও একজনকে অশুভ পরিকল্পনা নিয়ে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এগুলো নির্বাচনের ফায়দা তোলার জন্য করা হচ্ছে। এর থেকে বেশি কিছু নয়।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার মহিলা অস্থায়ী কর্মী অভিযোগ তোলার পর শুরু হয়ে যায় শোরগোল। রাজ্যপাল অভিযোগ অস্বীকার করেন রাতেই। মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার পর কড়া প্রতিক্রিয়া আসে রজভবনের তরফে। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজভবনের তরফে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে কোনও অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ করা হবে না। যে অনুষ্ঠানে চন্দ্রিমা থাকবেন, সেখানে যাবেন না রাজ্যপাল। সরব হন শশী পাঁজাও।
এদিকে, শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রী বেরিয়ে যাওয়ার পর কলকাতা ছাড়েন রাজ্যপাল বোস। তিনি কোচি গিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। বিতর্কের মাঝে রাজ্যপাল রাজ্য ছাড়লেও এই কর্মসূচি আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল বলে জানা গিয়েছে।