কলকাতা: কখনও ‘তুঘলকীয়’ কার্যকলাপ, কখনও আবার ‘ভ্যাম্পায়ার’-এর সঙ্গে তুলনা! রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান তথা আচার্য সি ভি আনন্দ বোসকে নাম না করে তীব্র কটাক্ষ করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল যে টানাপোড়েন চলছে সেই নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন ব্রাত্য। তবে তাঁর এই মন্তব্যে গুরুত্ব নিতেই নারাজ রাজ্যপাল বোস। নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়েই বুঝিয়ে দিলেন, একজন জুনিয়র কী বলেছেন তাঁর জবাব তিনি দিতে ইচ্ছুক নন।
গত ৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সিভি আনন্দ বোসের কার্যকলাপ নিয়ে সমালোচনা করে তাঁকে মহম্মদ বিন তুঘলকের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন ব্রাত্য বসু। এরপর শনিবার রহস্য বাড়িয়ে রাজ্যপাল টুইট করে লেখেন,”কী হয় তা দেখার জন্য মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।” পাল্টা শিক্ষামন্ত্রী সেই টুইট নিয়ে খোঁচা মেরে লেখেন,”সাবধান, সাবধান, সাবধান! শহরে নতুন ভ্যাম্পায়ার এসেছে। শহরবাসী নিজেদের খেয়াল রাখুন। ভারতীয় পুরাণ মতে রাক্ষস প্রহরের জন্য অপেক্ষায় আছি।”
সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যপাল বোস। সেখানে একাধিক ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া দেন তিনি। তবে সাংবাদিকরা ‘ভ্যাম্পায়ার’ প্রসঙ্গ তুললে স্পষ্ট তিনি বলেন, “একজন জুনিয়র কী বলেছেন, তার জবাব আমি দেব না ।” ব্রাত্য বসু যে পদাধিকার বলে নিচু তাও বুঝিয়ে দেন এদিন। রাজ্যপালের এই জবাব না দেওয়ার মন্তব্যকেও ‘জবাব’ হিসাবেই দেখেছেন রাজনৈতিক মহল। রাজ্যপাল নিজে সাংবিধানিক প্রধান। তাই কোন মন্ত্রী তাঁকে কী বলছেন সে বিষয় যে তিনি এতটুকু ভাবিত নন সে কথাই এ দিন বুঝিয়ে দিয়েছেন বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।