কলকাতা: সোমবার সন্দেশখালি যাচ্ছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কোচি থেকে রবিবার রাতে বেরোবেন তিনি। বেঙ্গালুরু হয়ে সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছনোর কথা তাঁর। সেখান থেকে সোজা সন্দেশখালির পথে রওনা হবেন রাজ্যপাল বোস। সূত্রের খবর, সোমবার ইন্ডিগো বিমান ৬ই ৬৪৩৯-এ সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে বেঙ্গালুরু থেকে কলকাতা ফিরবেন রাজ্যপাল। এরপর সন্দেশখালি যাবেন।
গত ৫ জানুয়ারি থেকে শিরোনামে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের সন্দেশখালি। সেখানকার ‘বেতাজ বাদশা’ তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে খুঁজতে গিয়ে ইডির আধিকারিদের উপর হামলার ঘটনা ঘিরে ৫ তারিখ যে অশান্তি শুরু হয়েছিল। ফেব্রুয়ারির ১০ পার করে সে অশান্তির ধিকি ধিকি আগুন এখন দাবানল।
শান্তি শৃঙ্খলা শিঁকেয় উঠেছে সন্দেশখালির। পথে নেমেছেন ঘরের মেয়ে বউরা। লাঠি, ঝাঁটা হাতে প্রতিবাদের নতুন ভাষা শেখাচ্ছেন তাঁরা। শাসকদল থেকে পুলিশ, প্রকাশ্যে উগরে দিচ্ছেন ক্ষোভ। রুখে দিচ্ছেন কোনও কিছু ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা।
শনিবারই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস একটি ভিডিয়ো বার্তা দিয়েছেন। সেখানে বলেছেন, “সন্দেশখালির ঘটনা বুঝিয়ে দিচ্ছে সভ্য সমাজে কতটা কুৎসিত ঘটনা ঘটতে পারে। মহিলাদের হেনস্থা করা হচ্ছে, নিগ্রহের শিকার হচ্ছেন তাঁরা। গুন্ডারাজ চলছে সেখানে।” নির্বাচিত সরকারকে পদক্ষেপ করতে হবে, সে বার্তাও দেন রাজ্যপাল। সরকারের কাছ থেকে রিপোর্টও তলব করেছিলেন বোস। বলেছিলেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে রাজ্যপালকে আবার ‘ডেডলাইন’ বেঁধে দিয়েছে বিজেপি। শনিবারই রাজভবনে গিয়েছিল বিজেপির এক প্রতিনিধি দল। শুভেন্দু অধিকারী ছিলেন নেতৃত্বে। সেখান থেকে বেরিয়ে শুভেন্দু বলেছিলেন, তাঁরা সোমবার সন্দেশখালি যাবেন। একইসঙ্গে বলেছিলেন, রাজ্যপালকে তাঁরা ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়েছেন। তার মধ্যে সন্দেশখালিতে শান্তি না ফিরলে সোমবার সেখানে গিয়ে ১৪৪ ধারা ভাঙবেন বলে হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছেন। অন্যদিকে রাজ্যপালও সরকারের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়ে ২৪ ঘণ্টা সময়ই দিয়েছিলেন। এরইমধ্যে খবর সন্দেশখালি যাচ্ছেন তিনি।