কলকাতা: সাম্প্রতিক ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গত রবিবার হাফিজুল নামে এক যুবককে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির চত্বর থেকে আটক করা হয়। সেই হাফিজুলের বিরুদ্ধে এবার উঠল আরও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে যাওয়ার সময় তাঁর কাছে ছিল একটা লোহার রড। জামার তলায় সেই রড লুকনো ছিল বলে জানা গিয়েছে। থানায় এই অভিযোগ দায়ের করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক নিরাপত্তা আধিকারিক। তাঁর দাবি, কোনও দুষ্কর্ম করার জন্যই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন তিনি। এই অভিযোগের ভিত্তিতে নতুন ধারা যুক্ত করা হয়েছে হাফিজুলের বিরুদ্ধে।
থানায় যে এফআইআর করা হয়েছে, তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, ১ ফুট লম্বা লোহার রড নিয়ে গিয়েছিলেন ওই যুবক। অনুপ্রবেশের অভিযোগে আগেই ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই যুবক শনিবার রাত থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির পাশে সাত ঘণ্টা বসেছিলেন। পরের দিন সকালে তাঁকে আটক করা হয়।
অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রথম নয়, আগেও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেছিলেন হাফিজুল। এ ভাবেই লুকিয়ে নবান্নে প্রবেশ করার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। সেই সময়ও তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলেছিল পুলিশ মন্দিরতলা থানার পুলিশ। আর এবার তিনি ধরা পড়েছেন কালীঘাট থানার পুলিশের হাতে। তাঁর পরিবারের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার অনেক দিনের ইচ্ছা ওই যুবকের। সেই কারণেই বারবার এমন কাজ করেন তিনি।
হাফিজুলের দাদা মইদুল মোল্লা দাবি করেছেন, হাফিজুলের মানসিক সমস্যা রয়েছে। বাড়িতে কয়েকদিন বেঁধেও রাখা হয়েছিল, ওষুধও খাওয়ানো হয়। আসল কারণ এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। তবে, নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। প্রাক্তন পুলিশ কর্তা নজরুল ইসলাম দাবি করেন, হাফিজুল যে কারণেই প্রবেশ করুক না কেন, এই ঘটনা দেখিয়ে দিয়েছে যে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির চত্বরে এ ভাবে যে কেউ প্রবেশ করতে পারেন।