Multi-Storey Building: বহুতল পাইয়ে দেওয়ার নামে কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ, গ্রেফতার মূল অভিযুক্তরা

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Jul 05, 2022 | 12:54 PM

West Bengal: পুলিশ সূত্রে খবর, উষসি রিয়েল এস্টেট নামের একটি বেসরকারি সংস্থা খোলে ওই অভিযুক্তরা। এরপর প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দিয়ে নিজেদের নতুন প্রোজেক্টের বিজ্ঞাপন দেয় তারা।

Multi-Storey Building: বহুতল পাইয়ে দেওয়ার নামে কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ, গ্রেফতার মূল অভিযুক্তরা
গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্ত (নিজস্ব ছবি)

Follow Us

কলকাতা: কোটি টাকার প্রতারণা। বহুতল বিক্রির নামে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ। পাঁচ বছর পর গ্রেফতার উষসি রিয়েল এস্টেট সংস্থার তিন ডিরেক্টর। তিরিশটি ওয়ারেন্ট এবং পাঁচটি অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার মূল অভিযুক্তরা।

পুলিশ সূত্রে খবর, উষসি রিয়েল এস্টেট নামের একটি বেসরকারি সংস্থা খোলে ওই অভিযুক্তরা। এরপর প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দিয়ে নিজেদের নতুন প্রোজেক্টের বিজ্ঞাপন দেয় তারা। পরে রাজারহাট, নিউটাউন এলাকায় বিভিন্ন নির্মীয়মাণ বহুতল দেখিয়ে রাজ্যের একাধিক ব্যক্তির থেকে লক্ষাধিক টাকা নিয়ে বিল্ডিং বিক্রির অগ্রিম বুকিং নেয় তারা। তবে সময় পেরিয়ে গেলেও সেই বিল্ডিং ক্রেতাদের দেয় না বলে অভিযোগ। এরপর ক্রেতারা প্রতারণার শিকার হয়েছেন বুঝতে পেরে দারস্থ হয় লেক টাউন থানায়।

পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১৭ সাল থেকে এই প্রতারণা চক্র চালাচ্ছিল লেকটাউনে অবস্থিত এই সংস্থা। উক্ত সংস্থার ডিরেক্টরদের খোঁজে ২০১৭ সাল থেকে তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, এই সংস্থার তিন ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে প্রায় ৩০টি ওয়ারেন্ট রয়েছে। পরবর্তীতে ২০২১ সালে এদের বিরুদ্ধে আরও ৫টি অভিযোগ জমা পড়ে লেক টাউন থানায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল এই সংস্থার তিনজন ডিরেক্টর বুদ্ধদেব দাস, মৃত্যুঞ্জয় সাহু ও উমা খাঁকে ব্যারাকপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২০১৭ সাল থেকে পলাতক ছিল এই অভিযুক্তরা।

মঙ্গলবার অভিযুক্তদের বিধাননগর আদালতে তোলা হবে। পুলিশ তাদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে বলে খবর। তবে এদের পিছনে কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির যোগ রয়েছে কি না তদন্ত করে দেখছে লেক টাউন থানার পুলিশ। এক প্রতারিত বলেন, ‘ওদের যিনি ইনচার্য ছিলেন। তার কাজ টাকা জোগাড় করা। তিনি আমাকে অনেকগুলি শর্ত দিয়ে বলেন, সময় মতো আপনি আপনার বাড়ি পেয়ে যাবেন। কিন্তু আমার দুর্ভাগ্য আমি ওই বাড়িটি চোখেই দেখিনি। আর এইভাবে ওরা আমায় ঠকায়। এই রকমভাবে প্রচুর লোকের থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সল্টলেক-নিউটাউন থেকে প্রচুর মানুষের টাকা মেরে নিয়েছে। পরে আমি থানায় অভিযোগ জানাই।’

Next Article