কলকাতা : বিধানসভায় নজরদারি বাড়ল আরও। বিধায়কদের সঙ্গে গাড়ি নিয়ে কেউ ঢুকতে পারবেন না বিধানসভায় (Assembly)। পাস ছাড়া গাড়ি নিয়ে কেউ ভিতরে যেতে পারবেন না। বিধানসভার স্টিকার গাড়িতে থাকলে তবেই সেই গাড়ি ভিতরে ঢোকার অনুমতি পাবে। বিধায়কদের পাস দেখাতে হবে বিধানসভায় প্রবেশের সময়। বুধবারের ঘটনার পর বৃহস্পতিবার এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল বিধানসভার তরফে। এদিন হেয়ার স্ট্রিট থানার ওসিকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল স্পিকারের ঘরে। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ বৈঠকের পরই বিধানসভার সচিবালয় সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে।
বুধবার বাজেট পেশ চলাকালীন বিধানসভায় ঢুকে পড়েছিলেন এক ব্যক্তি। বুধবার সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় বিধানসভায়। আর বৃহস্পতিবারই হেয়ার স্ট্রিট থানার ওসিকে ডেকে পাঠান স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এদিন স্পিকারের ঘরে যান ওসি। তাঁর সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তাও চলে। কীভাবে অনুমতি ছাড়া একজন ব্যক্তি বিধানসভা চত্বরে প্রবেশ করলেন, তা জানতেই এদিন ওসি-কে ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
জানা গিয়েছে, বিধায়ক পরিচয় দিয়েই ওই ব্যক্তি প্রবেশ করেছিলেন ভিতরে। তাঁকে ইতিউতি ঘুরে বেড়াতে দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। সূত্রের খবর, পুলিশের কাছে নিজেকে গজানন শর্মা বলে পরিচয় দেন ওই ব্যক্তি। তিনি নিজেকে মধ্য হাওড়ার বিধায়ক বলেও দাবি করেন। তাঁর চোখে ছিল কালো ফ্রেমের চশমা, মাথায় কাঁচা-পাকা চুল, পরে সাদা শার্ট।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের দাবি, মানসিক সমস্যা ছিল ওই ব্যক্তির। ২০২০ সালে তাঁর একমাত্র ছেলের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালে স্ত্রীর মৃত্যু হয়। বর্তমানে তাঁর পুত্রবধূর কাছে থাকেন ওই প্রৌঢ়। এখনও পর্যন্ত পুলিশ গোটা ঘটনায় কোনও ষড়যন্ত্রের হদিশ পায়নি।
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েও নিজেকে বিধায়ক বলেই পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি। তিনি দাবি করেছিলেন, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের নির্দেশেই নাকি বিধানসভায় এসেছেন তিনি। তাঁকে জিজ্ঞেস করলেই নাকি সব বুঝতে পারা যাবে। এই ঘটনায় বিধানসভার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পরিচয়পত্র ছাড়া বিধানসভায় প্রবেশ করতে পারেন না কেউ। সেই জায়গায় একজন ব্যক্তি আচমকা এভাবে প্রবেশ করা উদ্বিগ্ন কর্তৃপক্ষ।