Student Union Election: দু’সপ্তাহের ডেডলাইন! ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে রাজ্যকে বড় নির্দেশ হাইকোর্টের
Student Union Election: রাজ্যকে কার্যত 'ডেডলাইন' ধরিয়ে দিল বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন বিচারপতির নির্দেশ, ছাত্র সংসদের নির্বাচনী বিজ্ঞপ্তি জারি করা নিয়ে কী ভাবছে রাজ্য? সে নিয়ে আগামী দু'সপ্তাহের মধ্য়ে জানাতে হবে।

কলকাতা: বহুকাল বালাই নেই নির্বাচনের। ইউনিয়ন রুম যেন অলিখিত ক্ষমতাবলেই ‘দখল’ নিয়েছে শাসক শিবিরের ছাত্র নেতারা। এই পরিস্থিতিতে বারংবার উঠেছে অভিযোগ। সাম্প্রতিককালে নির্বাচনের দাবিতে, শিক্ষামন্ত্রীকে ঘেরাও করতে দেখা গিয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও। আবার নির্বাচন না হওয়ার কারণেই ক্ষমতার ‘একচেটিয়া’ ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিল কসবা-কাণ্ডে ধৃত মূল অভিযুক্তের বিরুদ্ধেও।
এই একাধিক প্রসঙ্গগুলিকে ঘিরে রয়েছে একটি ইস্যু, তা হল ছাত্র পরিষদ নির্বাচন। এবার সেই সূত্র ধরে আদালতেও উঠল ‘নির্বাচন প্রসঙ্গ’। রাজ্যকে কার্যত ‘ডেডলাইন’ ধরিয়ে দিল বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন বিচারপতির নির্দেশ, ছাত্র সংসদের নির্বাচনী বিজ্ঞপ্তি জারি করা নিয়ে কী ভাবছে রাজ্য? সে নিয়ে আগামী দু’সপ্তাহের মধ্য়ে জানাতে হবে।
বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গর্ভনিং বডিকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে হবে। এছাড়াও গর্ভনিং বডিগুলিতে শিক্ষাবিদদের রাখা প্রয়োজন। যাদের থেকে পড়ুয়ারাও কিছু শিখতে পারবে। পাশাপাশি, বিচারপতি সৌমেন সেনের নির্দেশ, যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য রয়েছে, সেখানে যত দ্রুত সম্ভব ছাত্র সংসদের নির্বাচন করাতে হবে।
যার পাল্টা রাজ্যের হয়ে সওয়ালকারী সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেন, ‘যে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী বা অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য রয়েছে, সেখানে আমরা নির্বাচনে যাব না। এটা রাজনৈতিক নিয়োগ। আমরা এই সিদ্ধান্তের চ্যালেঞ্জ করছি।’ তবে রাজ্য পক্ষের এই দাবি কার্যত মানতে নারাজ বিচারপতি সৌমেন সেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে কল্যাণ বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, এই অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যরা কোনও নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না।’ সব শেষে রাজ্য নির্বাচন নিয়ে সময় মতো বিজ্ঞপ্তি জারি করুক, এই নির্দেশই বহাল রাখল আদালত।

