শুভেন্দুর চিঠির পরই ভুয়ো ভ্যাকসিন নিয়ে তৎপর কেন্দ্র, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জবাব তলব রাজ্যের কাছে

Fake Vaccine: গত ২৫ জুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনকে চিঠি দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপরই রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব।

শুভেন্দুর চিঠির পরই ভুয়ো ভ্যাকসিন নিয়ে তৎপর কেন্দ্র, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জবাব তলব রাজ্যের কাছে
কসবার সেই ভুয়ো ক্যাম্পে ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন মিমি চক্রবর্তী।
Follow Us:
| Updated on: Jun 30, 2021 | 2:34 PM

নয়া দিল্লি: কলকাতায় কয়েক’শ মানুষকে ভুয়ো ভ্যাকসিন দিয়েছেন ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেব। দিনের পর দিন শহরের একাধিক জায়গায় চলেছে ভ্যাকসিন ক্যাম্প। ভ্যাকসিনের নামে দেওয়া হয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক। সেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। কার গাফিলতিতে শহর জুড়ে দেবাঞ্জনের বেপরোয়া কাজকর্ম? শাসক-বিরোধীর মধ্যে চলছে চাপান-উতোর। এরই মধ্যে ভুয়ো ভ্যাকসিন ইস্যুতে রাজ্যকে চিঠি দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। পুরো ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছে কেন্দ্র। দু’দিনের মধ্যে সেই চিঠির জবাব দিতে বলা হয়েছে। কয়েকদিন আগেই এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এরপরই মুখ্যসচিবের কাছে এল স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এই চিঠি।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ সাফ জানিয়েছেন, কো-উইন পোর্টালে রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কখনও টিকাকরণ হওয়া উচিৎ নয়। টিকা নেওয়ার আগে কেন্দ্রীয় সরকারের ওই পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করতে হয় ও টিকাকরণের পর আসে একটি সার্টিফিকেট। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে কি না, সেই বিষয়ে নজর দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর নজরদারি চালাতে হবে। সার্টিফিকেট না মিললে সেই ক্যাম্প ভুয়ো হতে পারে, এমনকি ভ্যাকসিনের নামে যা দেওয়া হচ্ছে সেটাও আসল টিকা না হতে পারে। রাজ্য সরকারের গাফিলতিতে সেই সব ভুয়ো ক্যাম্পের বাড়বাড়ন্ত বেড়ে যেতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে। এই ঘটনায় রাজ্য সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে ও দু’দিনের মধ্যে কেন্দ্রকে রিপোর্ট পাঠানোর কথাও বলা হয়েছে।

গত ২৫ জুন কসবা ভুয়ো টিকা-কাণ্ডে দেবাঞ্জন দেবের কথা বিস্তারিত উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে শুভেন্দু আবেদন জানান, গোটা বিষয়টির তদন্ত করুক কেন্দ্রীয় সংস্থা। তিনি চিঠিতে লেখেন, ‘মানুষের জীবন নিয়ে এখানে খেলা হয়েছে। একইসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, শান্তনু সেন, লাভলি মৈত্রের সঙ্গে দেবাঞ্জনের ছবি প্রকাশ্যে আসার বিষয়টিরও উল্লেখ রয়েছে চিঠিতে।

আরও পড়ুন: কোভিশিল্ডের হাজার ভুয়ো লেবেল তৈরি করেছিলেন দেবাঞ্জন! কারণ আরও ভয়ানক

এ দিক দেবাঞ্জন-কাণ্ডে একের পর এক নতুন তথ্য আসছে তদন্তকারীদের হাতে। জানা গিয়েছে, একশো বা দুশো নয়, কোভিশিল্ডের এক হাজার জাল লেবেল প্রিন্ট করেছিলেন দেবাঞ্জন। কসবায় তাঁর অফিসেই এই লেবেল প্রিন্ট করা হয়েছিল। লেবেল প্রিন্ট করার জন্য অফিসে ছিল কালার প্রিন্টারও। বাইরে থেকে কোভিশিল্ডের লেবেল প্রিন্ট করলে ধরা পড়ার ভয়ে অফিসেই কালার প্রিন্টার কিনেছিলেন দেবাঞ্জন। তাঁর অফিস থেকে বেশ কিছু কোভিশিল্ডের লেবেলও মিলেছে।