কোভিশিল্ডের হাজার ভুয়ো লেবেল তৈরি করেছিলেন দেবাঞ্জন! কারণ আরও ভয়ানক

অফিসের কম্পিউটার থেকে কোভিশিল্ডের এই জাল লেবেলের গ্রাফিক্স পাওয়ার পরে তাঁকে জেরা করা হয়।

কোভিশিল্ডের হাজার ভুয়ো লেবেল তৈরি করেছিলেন দেবাঞ্জন! কারণ আরও ভয়ানক
ছবি- ফেসবুক
Follow Us:
| Updated on: Jun 30, 2021 | 1:44 PM

কলকাতা: দেবাঞ্জন কাণ্ডে (Debanjan Deb) প্রকাশ্যে এল আরও এক নয়া তথ্য়। একশো বা দুশো নয়, কোভিশিল্ডের এক হাজার জাল লেবেল প্রিন্ট করেছিলেন দেবাঞ্জন। কসবায় তাঁর অফিসেই এই লেবেল প্রিন্ট করা হয়েছিল বলে তদন্তে জানা গিয়েছে (Kasba Fake Vaccination Camp)।

আরও বেশ কিছু জাল লেবেল প্রিন্ট করার জন্য গ্রাফিক্স তৈরি করে রাখা হয়েছিল তাঁর অফিসের কম্পিউটারে। এই লেবেল প্রিন্ট করার জন্য অফিসে ছিল কালার প্রিন্টারও। বাইরে থেকে কোভিশিল্ডের লেবেল প্রিন্ট করলে ধরা পড়ার ভয়ে অফিসেই কালার প্রিন্টার কিনেছিলেন দেবাঞ্জন। তাঁর অফিস থেকে বেশ কিছু কোভিশিল্ডের লেবেলও মিলেছে।

তাঁর অফিসের কম্পিউটার থেকে কোভিশিল্ডের এই জাল লেবেলের গ্রাফিক্স পাওয়ার পরে তাঁকে জেরা করা হয়। এই লেভেল তিনি কোথা থেকে প্রিন্ট করান, কেনই বা আরও লেবেল তৈরি করে রাখা হয়েছিল, তা জানতে চাওয়া হচ্ছে।

ইতিমধ্যেই দেবাঞ্জনের কসবার অফিস থেকে কলকাতা পুরসভার বিভিন্ন কাগজপত্র উদ্ধার হয়েছে। ফিন্যান্স ডিপার্টমেন্টের নথিও উদ্ধার হয়েছে। কম্পিউটার থেকে উদ্ধার হয়েছে আইটি ডিপার্টমেন্টের বিভিন্ন নথিও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, পুরসভা তার দায় এড়াতে পারে না।

আরও পড়ুন: মিমি ছাড়াও দেবাঞ্জনের ফাঁদে পড়েছিলেন আরও এক তৃণমূল সাংসদ!

প্রশ্ন উঠছে, কলকাতা পুরসভার কোন কোন আধিকারিক, কর্তাদের ঘরে আসা যাওয়া ছিল দেবাঞ্জনের? জানা যাচ্ছে, কলকাতা পুরসভার এক-দু’জন কমিশনারের ঘরে তাঁর নিয়মিত যাতায়াত ছিল। শুধু তাই নয়, পুরসভার সচিবালয়, বিজ্ঞাপন বিভাগ প্রায় রোজই যাতায়াত করতেন দেবাঞ্জন। করোনা কালের মধ্যেই পুরসভায় জাল বিছিয়েছিলেন দেবাঞ্জন। পুরসভায় কর্মীর সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আর সেই সুযোগেই নিজের জাল বিছিয়েছিলেন দেবাঞ্জন। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুরসভা। তবে অস্বস্তিও চরমে।