কলকাতা: তিন মাসের শিশুর হৃদযন্ত্রে জটিল সমস্যা। তার থেকেও বড় সমস্যা দেখা দেয় তার চিকিৎসা করাতে এসে। মেদিনীপুর থেকে কলকাতায় আনা হয়েছিল শিশুটিকে। নিয়ে যাওয়া হয় বেসরকারি হাসপাতালে। কিন্তু তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। টিভিনাইন বাংলা সে খবর তুলে ধরেছে সকাল থেকে। কেন ফিরিয়ে দেওয়া হল শিশুকে? বেসরকারি হাসপাতালের কাছে জানতে চাইল কলকাতা মেডিক্যাল। ফোন পেয়ে পরিবারকে ডেকে পাঠায় বেসরকারি হাসপাতাল। সময়মতো অস্ত্রোপচারের আশ্বাসও দেওয়া হয়।
সাধারণ মানুষের চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি শিশুদের চিকিৎসার জন্য আছে শিশুসাথী। তারপরও সমাধান হচ্ছিল না মেদিনীপুরের একরত্তির। হার্টের কঠিন সমস্যা ওই তিন মাসের শিশুর। মেদিনীপুর থেকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন বাবা, মা। এদিকে যে পরিকাঠামোয় শিশুর অস্ত্রোপচার হবে, তা কলকাতা মেডিক্যালে নেই। সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা একরত্তিকে রেফার করে ইএম বাইপাস লাগোয়া এক বেসরকারি হাসপাতালে।
পরিবার শিশুসাথী প্রকল্পের আওতায় ভর্তি নেওয়ার কথা বলে সেখানে। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতাল তাতে রাজি হয়নি। মোটর ভ্যান চালক বাবা তো দিশাহারা। শিশুসাথীতে চিকিৎসা না হলে যে সন্তানকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হবে, তাও বলেন বাবা। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের যে হাত পা বাঁধা তা মেনে নেন চিকিৎসক মিহির সরকার। তিনি বলেন, “জটিল হার্টের অসুখ। মেডিক্যাল ম্যানেজমেন্ট এখানে থাকলেও সার্জিকাল ম্যানেজমেন্ট এখনও পর্যন্ত নেই।” শনিবার টিভিনাইন বাংলা লাগাতার এ খবর দেখায়। এরপরই নড়েচড়ে বসে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।
তারাই যোগাযোগ করে বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে। ডেকে পাঠানো হয় শিশুর পরিবারকে। সময়ে অস্ত্রোপচারের আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন থাকছেই। সরকারি প্রকল্প রাখা হয়েছে, তাহলে তার সুবিধা কেন পাবে না অসহায় পরিবারগুলো? কেন বেসরকারি হাসপাতালগুলি এভাবে মুখ ফেরাবে?