কলকাতা: পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আর কতদিন আটকে রাখা সম্ভব? সুপ্রিম কোর্টে এমন প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে। আর এবার হাইকোর্টে সেই একইভাবে প্রশ্নের মুখ পড়ল সিবিআই। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের মামলায় সিবিআই-কে কড়া প্রশ্ন করল হাইকোর্ট। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর সরাসরি প্রশ্ন, “এতদিন মনে হল না জিজ্ঞাসাবাদের কথা? হঠাৎ জামিন পেতে পারে ভেবে সিবিআই ডেকে পাঠাল অভিযুক্তকে?”
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট গ্রেফতার করেছে আগেই। বর্তমানে জেল হেফাজতে আছেন তিনি। দীর্ঘদিন অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালেও কেটেছে তাঁর। এবার তাঁকে হেফাজতে নিতে আদালতে আবেদন জানিয়েছে সিবিআই। তারপরই আগাম জামিন চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত বছরের ৩০ মে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে গ্রেফতার করে ইডি। এখন তাঁর আশঙ্কা, সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করতে পারে।
সিবিআই হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানোর পর সুজয় ভদ্রকে সশরীরে বিশেষ আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বুকে ব্যথা হওয়ায় হাজিরা দিতে পারেননি তিনি। এরপরই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালতে গিয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ। তবে হাইকোর্ট প্রশ্ন তুলেছে, কেন তাঁকে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হল! বিচারপতি বাগচী বলেন, এখন অনলাইন হাজিরা গ্রহণযোগ্য, তাহলে কেন কোর্টে যেতে বলা হল? ভিডিওকলেও শোনা যেত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে, সিবিআই-এর সমালোচনা করে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, দেড় বছর অভিযুক্ত ইডি-র মামলায় জেলে। তাহলে এখন কেন তৎপর হল সিবিআই? বিচারপতির প্রশ্ন, “হাইকোর্ট থেকে সেই মামলায় জামিন পেতে পারেন দেখে, তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়লেন? এতদিন কী করছিল সিবিআই?”