কলকাতা: বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারবে না পুলিশ। আদালতের নির্দেশ ছাড়া কোনও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও চার্জশিট পেশ করা যাবে না, কোন ফাইনাল রিপোর্টও দেওয়া যাবে না। বুধবার এমনই নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। প্রাক্তন উপাচার্যের বিরুদ্ধে মোট পাঁচখানা মামলা হয়েছিল। সেই মামলায় তাঁকে নোটিস দেয় পুলিশ। পরে আদালতের নির্দেশ মতো নভেম্বর মাসে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছিল বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে। বুধবার সেই মামলায় পুলিশকে ভর্ৎসনার সুরে বিচারপতি বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ জীবিত থাকলে আপনারা তো তাঁকেও অভিযুক্ত করে দিতেন।’
পুলিশের আচরণে কার্যত বিরক্তি প্রকাশ করেন বিচারপতি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর লেখা চিঠি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। সেখানে রবীন্দ্রনাথের লেখা প্রসঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার কথা ছিল। এদিন সেই চিঠি দেখে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘এটায় ধর্তব্যযোগ্য অপরাধ কী আছে?’ রাজ্য উত্তর দেয়, ‘তদন্ত করে দেখতে হবে।’ এই উত্তর শুনেই বিরক্ত হন বিচারপতি।
বিচারপতি সেনগুপ্ত বলেন, “আপনারা আগে ধারা যোগ করে দেন, পরে তদন্ত করে দেখেন আদৌ ধর্তব্যযোগ্য অপরাধ কি না? ভাগ্যিস রবীন্দ্রনাথ জীবিত নেই। কী যে করতেন? তাঁকেও অভিযুক্ত করে দিতেন।” বিচারপতির মন্তব্য, বিদ্যুৎ চক্রবর্তী মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন, তার মানে এই নয় যে সেই চিঠিতে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলা হতে পারে।
আগামী ১১ জানুয়ারি বিকেল তিনটেয় এই মামলার রায় দেবে আদালত। বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে আরও একটি মামলায় রাজ্যকে ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি। সেখানে অভিযোগ উঠেছিল, টোটো চালককে টোটো চালাতে বাধা দিয়েছেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এই অভিযোগ শুনে বিচারপতি মন্তব্য করেন, “এইসব অভিযোগ করে আপনারা রাজ্য সরকারকে অপমান করছেন। আমি বিশ্বাস করি না রাজ্যের উচ্চপদস্থ কেউ এগুলো আপনাদের করতে নির্দেশ দিতে পারে।”