কলকাতা : বছর চারেক আগে নিখোঁজ (missing) হয়ে যান ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র। এতদিনেও তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। পুলিশের দ্বারস্থ হয়েও কোনও লাভ হয়নি। অবশেষে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে ওই ছাত্রের পরিবার। আর সেই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সোমবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে ছিল সেই মামলার শুনানি। পুরো ঘটনা শুনে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে এই মামলা তদন্তভার নেয় সিবিআই। এটা আর পাঁচটা নিখোঁজ মামলার মতো নয় বলেই মনে করছেন তিনি। এই ঘটনার সঙ্গে বাংলাদেশের একটি যোগ থাকার বিষয়ও সামনে আসছে।
এর আগে এই মামলার তদন্ত করেছে রাজ্য সরকারি সংস্থা সিআইডি। কিন্তু মামলার সঙ্গে বাংলাদেশের একটি যোগ থাকায় বিষয়টি অন্য মাত্রা পেয়েছে। তাই বিচারপতির নির্দেশ, দ্রুত মামলা হস্তান্তর করুক সিআইডি।
কলকাতার বাসিন্দা তৃষিত বিশ্বাস বিশ্বাস নামে ওই যুবক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র ছিলেন। ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি তিনি। এরপরই নিউ আলিপুর থানার দ্বারস্থ হয়েছিল পরিবার। কিন্তু পুলিশ জেনারেল ডায়েরি করলেও এফআইআর নেয়নি বলেই অভিযোগ। ঘটনার আট মাস পর এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করে কলকাতা পুলিশ। একজনকে গ্রেফতারও করা হয়। কিন্তু সেই ব্যক্তি জামিন পেয়ে যান। এরপর পুলিশ মামলা ক্লোজ করে দেয়।
পরে ছেলের খোঁজ পেতে হাইকোর্টে হেবিয়াস কর্পাস মামলা করেন ছাত্রের বাবা। সেই সময় তদন্ত করছিল সিআইডি। কিন্তু সিআইডি তদন্তেও কোনও কিনারা হয়নি। এর মধ্যে একটি ফোন আসে তাঁদের বাড়িতে। পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, ছেলের হদিশ দেওয়া হবে বলে ওই ফোন এসেছিল। পরে আসে একটি চিঠি। আদালতের নির্দেশে ইন্টারপোলের সাহায্যে বাংলাদেশের সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশে সেই ফোন নম্বরের কোনও অস্তিত্ব নেই বলে জানানো হয়। এরপরেই নতুন মামলা দায়ের হয়। বিচারপতি মান্থা এই ঘটনায় জটিলতা, ও দুই দেশের মধ্যে তদন্তের সমন্বয়ের জন্য সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।