কলকাতা: ডিভিশন বেঞ্চে স্বস্তি পেলেন না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। ২ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতেই হবে তাঁকে। সাত দিন সময় রয়েছে তাঁর কাছে। তার মধ্যেই জরিমানার টাকা জমা দিতে হবে নিয়োগ দুর্নীাতি (Recruitment Scam) মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যকে। সোমবার এমনই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা দিতে হবে সেই টাকা। স্বল্প মেয়াদী প্রকল্পে গচ্ছিত থাকবে টাকা। মামলার ফল মানিক ভট্টাচার্যর পক্ষে গেলে টাকা ফেরত পাবেন তিনি। নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলায় এই টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মানিক।
মায়ারানি পাল নামে এক চাকরি প্রার্থী মামলাটি করেছিলেন। তিনি ২০১৪ সালে প্রাথমিক টেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ৬ বছর পরও ফল না জানতে পেরে মামলা দায়ের করেন তিনি। মামলকারীর বক্তব্য ছিল, টেটের ফল জানতে না পারায় ২০১৬ এবং ২০২০ সালের দু’টি পরীক্ষাতেও অংশ নিতে পারেননি তিনি। এর ফলে তিনি বঞ্চিত হন।
যেহেতু ওই পরীক্ষার সময় পর্ষদের সভাপতি ছিলেমন মানিক, তাই এই মামলায় মানিককে জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, পরীক্ষা দিয়ে ফল জানার অধিকার প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর রয়েছে। কিন্তু পর্ষদের শীর্ষপদে এমন এক ব্যক্তি ছিলেন, তাঁর জন্যই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
আরও একটি মামলায় মানিককে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সহিলা পারভিন নামে ২০১৭ সালের এক টেট পরীক্ষার্থী হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তিনি তথ্যের অধিকার আইনের আওতায় তাঁর ওএমআর শিট চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন। এর জন্য নির্ধারিত টাকা দিয়ে এই আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সহিলা পারভিনের অভিযোগ, তাঁকে যথাযথ ওএমআর শিট দেয়নি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেই মামলাতেও জরিমানা ধার্য করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।