Calcutta High Court : ‘উপাচার্য কিছু জানেন না এটা হতে পারে না’, মামলা শুনেই বলে উঠলেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি

Shrabanti Saha | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Nov 07, 2024 | 4:07 PM

High Court: বাবা সাহেব আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে প্রায় ৬০০ থেকে ৬৫০টি বিএড কলেজ রয়েছে। অভিযোগ, অধিকাংশ কলেজেই নেই পর্যাপ্ত পরিকাঠামো। এনসিটিই (NCTE) গাইডলাইন অনুযায়ী কলেজে যে পরিকাঠামো থাকা প্রয়োজন, তার কিছুই না থাকা সত্ত্বেও কীভাবে কলেজ চলছে, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।

Calcutta High Court : উপাচার্য কিছু জানেন না এটা হতে পারে না, মামলা শুনেই বলে উঠলেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি
কলকাতা হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে মামলার শুনানি।

Follow Us

কলকাতা: অ্যাফিলিয়েশন নেই, পরীক্ষা দিতে পারছেন না পড়ুয়ারা। কলেজ আছে, পরিকাঠামো নেই। এমন অভিযোগেই মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলায় রাজ্যের বর্তমান শিক্ষা-পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি।

‘দুর্নীতির অভিযোগে বন্ধ শিক্ষক নিয়োগ। পুলিশে কনস্টেবল নিয়োগও বন্ধ। কলেজেও উঠছে দুর্নীতির অভিযোগ। এই সব কারণেই বাংলার ছেলেমেয়েরা বাইরে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে।’ এদিন শুনানি চলাকালীন এমনই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম।

বাবা সাহেব আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে প্রায় ৬০০ থেকে ৬৫০টি বিএড কলেজ রয়েছে। অভিযোগ, অধিকাংশ কলেজেই নেই পর্যাপ্ত পরিকাঠামো।
এনসিটিই (NCTE) গাইডলাইন অনুযায়ী কলেজে যে পরিকাঠামো থাকা প্রয়োজন, তার কিছুই না থাকা সত্ত্বেও কীভাবে কলেজ চলছে, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। কীভাবেই তারা ছাত্র ছাত্রীদের ভর্তি নিচ্ছে, এই নিয়ে প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের করা হয়েছে জনস্বার্থ মামলা।

অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের খাতায় ওই সমস্ত কলেজের অ্যাফিলিয়েশন বা অনুমোদন পুনর্নবীকরণ (রিনিউ) করা হয়নি। ফলে কলেজের পড়ুয়ারা বিএড পরীক্ষায় বসতে পারছেন না বলে অভিযোগ। তাঁরাই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন, ‘উপাচার্যকে অবিলম্বে তার পদ থেকে সরানো উচিত’। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী কল্লোল বসুর উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘উপাচার্য কিছু জানেন না এটা হতে পারে না।’

প্রধান বিচারপতি রাজ্যের আইনজীবীর কাছে জানতে চান এ ব্যাপারে রাজ্য কী পদক্ষেপ করেছে। রাজ্যের আইনজীবী জানান, এখানে সম্পূর্ণ দুটো পক্ষে ভাগ হয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। একটা পক্ষের দাবি অনুযায়ী ব্যবস্থা না নেওয়া হলে, তারা বলছে কিছু করা হচ্ছে না। আবার অন্য পক্ষ বলছে, তাদের কথা ভালভাবে শোনা হচ্ছে না।

Next Article