কলকাতা: বেড়েছে কাজের দিন। আর কমেছে ছুটি। সেই কারণে ভীষণ বিরক্ত হাইকোর্টের আইনজীবীরা। ডাকলেন জরুরি মিটিং। কেন্দ্রীয় সরকারের ফরমান,বছরে কাজের দিন আরও বাড়াতে হবে৷ সেই নির্দেশে হাইকোর্টের ছুটির খাতা থেকে দশদিন কমতে চলেছে। আর এতেই বেজায় বিরক্ত আইনজীবীরা। মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনার জন্য ডাকা হয়েছে জরুরি ভিত্তিতে মিটিং।
২০২৫ সালে হাইকোর্টের কর্মদিবস ২১২ দিন। তা আরও ৭ দিন বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে বিচারপতিদের কমিটি। এই কমিটিতে রয়েছেন, বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন, বিচারপতি সৌমেন সেন, বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি এবং বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী। কেন্দ্রীয় আইন ও বিচার মন্ত্রক নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, দেশে ঝুলে থাকা মামলার সংখ্যা কমাতে হাইকোর্টগুলি বছরে নূন্যতম ২২২ দিন কর্মদিবস রাখবে। অর্থাৎ, ২২২ দিন হাইকোর্টে সম্পূর্ণ সচল থাকবে বিচারের কাজ।
ফলত, ২০২৫-এ সাত দিন ছুটি বাতিলের প্রস্তাব। লক্ষ্মী পুজো থেকে কালী পুজোর মধ্যে সাতদিন অর্থাৎ ৯,১০,১৩,১৪,১৫,১৬,১৭ অক্টোবর ছুটি বাতিলের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। আর এতেই বেজায় ক্ষুব্ধ হাইকোর্টের আইনজীবীদের দুই সংগঠন। বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সেক্রেটারি বিশ্বব্রত বসু মল্লিক জানিয়েছেন,”বিচারপতির সংখ্যা থাকা উচিৎ ৭০। সেখানে কলকাতা হাইকোর্টে মাত্র ৫০ বিচারপতি কাজ করছেন। তাহলে মামলা শোনাব কাকে?”
বস্তুত, আইনজীবীদের ছুটি নেওয়ার বিষয়টি নতুন নয়। কোনও আইনজীবী মারা গেলে ফুল কোর্ট রেফারেন্স দিয়ে আদালত বন্ধ করে দেওয়া হয়। এমনকী ২১ জুলাইয়ের সময় রাস্তা অবরুদ্ধ থাকবে কারণ দেখিয়েও একাংশ আইনজীবীরা আসতে চান না বলেও জানানো হয়। ছুটির এই ‘ট্রাডিশন’ বন্ধ করতেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।