Home Isolation Reduction: ১৪ দিন নয়, পাঁচ দিনের আইসোলেশন চাইছেন চিকিৎসকরা

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Jan 04, 2022 | 5:51 PM

Home Isolation Reduction: "যেহেতু ওমিক্রনের ক্ষেত্রে উপসর্গ মারাত্মক আকারে হচ্ছে না, তাই যেটার ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, তা হল হোম আইসোলেশন বেসড ট্রিটমেন্ট। সেক্ষেত্রে একমাত্র শ্রেষ্ঠ ওষুধ প্যারাসিটামল।"

Home Isolation Reduction: ১৪ দিন নয়, পাঁচ দিনের আইসোলেশন চাইছেন চিকিৎসকরা
কিছুটা কমল রাজ্যের সংক্রমণ। ফাইল ছবি।

Follow Us

কলকাতা: এসএসকেএম ডাক্তারদের মধ্যে বেড়েই চলেছে করোনার দাপট। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ২৬ জন চিকিৎসক! তিনদিনে সংখ্যাটা পঞ্চাশের বেশি! পরিস্থিতি এতটাই উদ্বেগজনক যে তড়িঘড়ি বৈঠক করে আইসোলেশন পর্ব পাঁচ দিনে কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ। পরে একটি সাংবাদিক বৈঠকও করেন চিকিৎসকরা।

এসএসকেএমে সাংবাদিক বৈঠকে এসএসকেএমের চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকার বললেন, “যেহেতু ওমিক্রনের ক্ষেত্রে উপসর্গ মারাত্মক আকারে হচ্ছে না, তাই যেটার ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, তা হল হোম আইসোলেশন বেসড ট্রিটমেন্ট। সেক্ষেত্রে একমাত্র শ্রেষ্ঠ ওষুধ প্যারাসিটামল।”

চিকিৎসক বলছেন, “ভাগ্য ভালো আক্রান্তদের বেশিরভাগই ৫-৭ দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠছেন। হয়তো হোম আইসোলেশনের যে লম্বা ১৭ দিনের পিরিয়ড, সেটাকেও কমিয়ে আনা হবে। যদি সেটা কমিয়ে আনা হয়, তাহলে ওয়ার্ক টার্নওভার বা অর্থনীতির ক্ষেত্রে অনেকটা উপকারী হবে।”

বিশ্বের অনেক দেশই এখন ১৪ দিন বা ২১ দিনের আইসোলেশনের নিয়মে বদল এনেছে। সম্প্রতি আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন আমেরিকাবাসীর জন্য আইসোলেশনের নতুন প্রোটোকল চালু করেছে। সেখানে বলা হয়েছে করোনা আক্রান্ত হলে পাঁচ দিন আইসোলেশনে থাকতে হবে। সাতদিন পর কাজে যোগ দেওয়া যাবে। সেই পথেই এবার ভারতও হাঁটবে বলে মনে করছেন আধিকারিকরা। এসএসকেএমের চিকিৎসকদের কথাতেও তেমনই ইঙ্গিত মিলল।

আইসিএমআর-এর গাইডলাইন অনুযায়ী, করোনা আক্রান্ত হলে, উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর বা করোনা পরীক্ষার দিন থেকে অন্তত ১০ দিন নিজেকে আলাদা করে রাখতে হবে। ১০ দিন উপসর্গ না থাকলে আইসোলেশন শেষ হয়ে যাবে। শেষ তিন দিন যদি জ্বর না আসে সে ক্ষেত্রে আর আইসোলেশনের কোনও প্রয়োজন নেই। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকদের মতে, ওমিক্রনের ক্ষেত্রে উপসর্গগুলিও কম। আক্রান্তরা পাঁচ-সাত দিনেই সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের আর অতিরিক্ত আইসোলেশনের প্রয়োজন নেই।

পরিসংখ্যান বলছে, এসএসকেএমের পঞ্চাশের বেশি চিকিৎসক আক্রান্ত।  কার্ডিওলজি, CTVS, ENT, স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ সহ একাধিক বিভাগের চিকিত্সকের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। করোনা আক্রান্তদের যাঁরা চিকিৎসা করবেন, সেই চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরাই মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাহলে প্রশ্ন, পরিষেবা দেবেন কারা? আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজ, চিত্তরঞ্জন সেবা সদন, নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ, আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও ৭ দিনে প্রায় ২১ জনের মতো চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য়কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন।

এত পরিমাণ চিকিৎসক, নার্স আক্রান্ত হচ্ছেন, তাতে আইসোলেশন পর্ব কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে এসএসকেএমের তরফে। কারণ তা না হলে হাসপাতালে দেখা দিচ্ছে চিকিৎসক সঙ্কট! কোভিড আক্রান্ত রোগীদের সামাল দিতে চিকিৎসকেরই অভাব দেখা দিচ্ছে হাসপাতালগুলিতে। এসএসকেএমের ক্ষেত্রেও গত ২৪ ঘণ্টায় ২৬ জন চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন। তিন দিনে সেই সংখ্যা পঞ্চাশ ছাড়িয়েছে। শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতাল, পুলিশ হাসপাতাল সব মিলিয়ে চিকিৎসক আক্রান্তের সংখ্যা যদি ১০০ ছাড়ায়, তাতেও অবাক হওয়ার নেই। কারণ ঝড়ের গতিতে বাড়ছে সংক্রমণ।

আরও পড়ুন: ওমিক্রনের থেকেও বেশি সংক্রমক ‘IHU’, করোনা নতুন ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ! কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

Next Article