কলকাতা: গরু পাচার মামলায় ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বীরভূমের বেতাজ বাদশা অনুব্রত মন্ডল (Anubrata Mondal)। গরু পাচারের পাশাপাশি কয়লা পাচার নিয়েও চলছে জোরদার তদন্ত। সূত্রের খবর, কয়লা পাচার চলে তিনভাবে। অভিযোগ, লালার সিন্ডিকেট কাজ করে তিন জায়গায়। সরকার স্বীকৃত বন্ধ খাদান থেকে তোলা হয় কয়লা। বেআইনি খাদান থেকেও তোলা হয় কয়লা। জমি কেটে খাদান বানিয়ে তোলা হয় কয়লা। অভিযোগ, কয়লা তোলার পর তা বিক্রি করা হয় পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, বাঁকুড়ার স্পঞ্জ আয়রন কারখানাতে। সরকারিভাবে কয়লা কেনে এমন বহু কোম্পানি কম দামের কারণে বেআইনি কয়লা কেনে। বহু ইটভাটাও বেআইনি কয়লার ক্রেতা। সরকারি বেসরকারি প্রজেক্টের জন্য কয়লা জোগান এমন বহু ঠিকাদারও বেআইনি কয়লা কেনে।
এদিকে কিছুদিন আগেই কয়লা পাচার কাণ্ডে আসানসোলের বিশেষ আদালতে ৪১ পাতার চার্জশিট জমা দেয় সিবিআই। ওই চার্জশিটে কয়লা মাফিয়া অনুপ মাজি ওরফে লালা সহ বিনয় মিশ্র, বিকাশ মিশ্র, জয়দেব মণ্ডল, গুরুপদ মাজি, নিরোধ মণ্ডল, নারায়ণ নন্দা সহ গ্রেফতার হওয়া আট ইসিএল আধিকারিকদের নাম ছিল। যা নিয়েও রাজনৈতিক মহলে বেড়েছিল চাপানউতর।
সিবিআইয়ের পাশাপাশি কয়লা পাচার কাণ্ডে জোরদার তদন্ত চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। ইতিমধ্যেই ৭ আইপিএস অফিসারকে দিল্লিতে তলব করেছে ইডি। সূত্রের খবর, যে সময় কয়লা পাচারের বাড়বাড়ন্ত বেড়েছিল সেই সময় এই পুলিশ কর্তারা বিভিন্ন উচ্চপদে কর্মরত ছিল বলে জানতে পেরেছেন ইডির তদন্তকারীরা। কিন্তু, তাঁদের চোখের সামনে দিয়ে কী ভাবে পাচার হত কয়লা? সেই প্রশ্নই উঠছে। যাঁদের তলব করা হয়েছে সেই তালিকায় রয়েছেন জ্ঞানবন্ত সিং, রাজীব মিশ্র, সুকেশ জৈন, সেলভা মুরুগান, তথাগত বসু, শ্যাম সিং ও কোটেশ্বর রাও। আগামী ২১ থেকে ৩১ অগস্টের মধ্যে তাঁদের দিল্লিতে ইডির দফতরে তলব করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।