Bratya Basu: ‘দেশের বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানেই র‌্যাগিং হয়, কিন্তু…’, র‌্যাগিং রুখতে কী দাওয়াই শিক্ষামন্ত্রীর?

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Aug 21, 2023 | 7:14 PM

Ragging: তবে র‌্যাগিং নিয়ে রাঘবন কমিটির যে সুপারিশ তা যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে জানানো হয়েছে, সে কথাও বলেন শিক্ষামন্ত্রী। প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে কেরলের একটি মামলার প্রেক্ষিতে তৈরি হয়েছিল রাঘবন কমিটি।

Bratya Basu: দেশের বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানেই র‌্যাগিং হয়, কিন্তু..., র‌্যাগিং রুখতে কী দাওয়াই শিক্ষামন্ত্রীর?
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: কোনও প্রতিষ্ঠান বা কর্তৃপক্ষের একার পক্ষে কখনওই র‌্যাগিং রোখা সম্ভব নয়, মন্তব্য শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর। তিনি বলেন, একমাত্র সিনিয়র-জুনিয়রের সম্পর্কের মসৃণতাই পারে এই প্রবণতা দূরে ঠেলতে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ নতুন নয়। আর সেই র‌্যাগিং যে কখনও কখনও প্রাণঘাতীও হয়ে ওঠে, তার উদাহরণও কম নেই। সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় জোরাল হয়েছে র‌্যাগিংতত্ত্ব। এই র‌্যাগিং কখনও শারীরিক, কখনও মানসিক। তবে র‌্যাগিং যে অপরাধ, তা এক বাক্যে মানছে সবমহলই। নিছক মজার ছলে জুনিয়রকে সিনিয়রের ‘টাস্ক’ দেওয়া কখনও কখনও সীমা পার করছে। অপমানে, অভিমানে কুঁকড়ে যাচ্ছে প্রথমবার শহরে পড়তে আসা বা ভিন রাজ্যে পড়তে যাওয়া কোনও ছেলে বা মেয়ে। আর তাতেই ঘটে যাচ্ছে বড় বিপদ। কীভাবে এই ‘অপরাধ’ রোখা যায়, তা নিয়ে নানা মহলের নানা মত। শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, সিনিয়র তাঁর জুনিয়রকে নিয়ে হয়ত মজা করছেন। কিন্তু পরক্ষণে সেই সিনিয়রকে জুনিয়রকে বুকে জড়িয়ে ধরতে হবে বড় দাদার মতো করে। জুনিয়র যেন দাদার সেই ভালবাসাই পায় সিনিয়রের কাছ থেকে।

সোমবার বিধানসভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ব্রাত্য বসু বলেন, “সারা ভারতবর্ষের বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানেই র‌্যাগিং হয়। কিন্তু সেটা যদি এরকম নৃশংস ও ফিজিকাল হয়, কোনও মায়ের কোল খালি হয়, মৃত্যুর মতো মর্মান্তিক জায়গায় চলে যায়, তাহলে তো মানুষ এর প্রতিবাদ করবেই। কোনও কর্তৃপক্ষ বা রাষ্ট্র এটা আটকাতে পারবে না। একমাত্র সিনিয়ররা যখন নতুনদের ভালবাসতে শিখবে তখনই তা রোখা যাবে।”

যাদবপুরের ঘটনার পর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই সিসিটিভি বসানোর পক্ষে সওয়াল করা হচ্ছে। তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের তরফে ইতিমধ্যেই যাদবপুর ক্যাম্পাসে হাতে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা নিয়ে প্রতীকী মিছিলও হয়েছে। সিসিটিভি নিয়ে কী মত শিক্ষামন্ত্রীর? ব্রাত্য বলেন, “আমি চাইব হস্টেলগুলোয় সিসিটিভি যেমন থাকবে, তেমনই আচরণও আমাদের যথাসম্ভব নিয়ন্ত্রিত হওয়া দরকার। সিসিটিভি রাখা হবে কী হবে না তা যাদবপুর কর্তৃপক্ষের চাওয়া।”

তবে এ নিয়ে রাঘবন কমিটির যে সুপারিশ তা যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে জানানো হয়েছে, সে কথাও বলেন শিক্ষামন্ত্রী। প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে কেরলের একটি মামলার প্রেক্ষিতে তৈরি হয়েছিল রাঘবন কমিটি। সিবিআইয়ের প্রাক্তন ডিরেক্টর আরকে রাঘবনকে মাথায় রেখে এই কমিটি তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এই কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে র‌্যাগিং রুখতে একাধিক সুপারিশ করেছিল।

Next Article