Jadavpur University Student Death: প্রধান বিচারপতির প্রশ্নের মুখে JU কর্তৃপক্ষ, ছাত্রদের কথাও শুনবে হাইকোর্ট

Shrabanti Saha | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Aug 22, 2023 | 1:30 AM

Jadavpur University Student Death: বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে আইনজীবী সৌম্য মজুমদার জানিয়েছেন, ছাত্রদের মধ্যে একটা আতঙ্ক কাজ করছে। সাময়িকভাবে তাঁদের অন্য ব্লকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

Jadavpur University Student Death: প্রধান বিচারপতির প্রশ্নের মুখে JU কর্তৃপক্ষ, ছাত্রদের কথাও শুনবে হাইকোর্ট
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়
Image Credit source: টিভি নাইন বাংলা

Follow Us

কলকাতা: যাদবপুর-কাণ্ডে এবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির প্রশ্নের মুখে পড়তে হল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। এত বড় একটা ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর ফ্রেশার (নবাগত)-দের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কি কোনও গাইডলাইন তৈরি করতে পারে না? ঘটনার রাতে কেন হস্টেলে পুলিশ প্রবেশ করতে পারল না? এ ব্যাপারে উত্তর চাওয়া হয়েছে কর্তৃপক্ষের কাছে। পাশাপাশি, এই মামলায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের কথা শোনাও খুব জরুরি বলে মনে করছেন প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম। গত ৯ অগস্ট হস্টেলের তিনতলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রথম বর্ষের ছাত্রের। সেই ঘটনার জেরে কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে হাইকোর্টে। সোমবার ছিল সেই মামলার শুনানি।

শুনানিতে এদিন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, উচ্চশিক্ষার লক্ষ্যে বাবা-মায়েরা যাদবপুরে পাঠান, আর এখানে এলে তাঁদের র‍্যাগিং করা হয়। গতকাল যিনি ফ্রেশার, আগামিকাল তিনিই ‘দাদা’ হয়ে যান। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সওয়াল করতে গিয়ে আরও দাবি করেন, ২০১৬ সালে একজনের মৃত্যু হয়েছিল, সেই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে কোনও এফআইআর করা হয়নি। সেই সময়ও পুলিশকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি বলে দাবি করেন আইনজীবী। তিনি বলেন, ক্যাম্পাসের ভিতরে যা হয় সেটা অন্ধকারে রাখা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনজন ভিসি-কে সরে যেতে বাধ্য করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। সরকারি আইনজীবী জানান, ঘটনার রাতে পুলিশ কেন ঢুকতে পারেনি, তা নিয়ে আলাদা করে মামলা রুজু করা হয়েছে।

যাদবপুর ইউনিভার্সিটি আইন, ১৯৮১ অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয় কোনও ব্যবস্থা নিয়েছে কি না, কোনও গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে কি না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী একাধিক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। সেগুলি মানা হয়েছে কি? বিশ্ববিদ্যালয় কি ফ্রেশারদের জন্য কোনও গাইডলাইন তৈরি করতে পারে না? ছাত্র ইউনিয়নকে এই মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, এই মামলায় তাদের কথা শোনা জরুরি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে আইনজীবী সৌম্য মজুমদার জানিয়েছেন, ছাত্রদের মধ্যে একটা আতঙ্ক কাজ করছে। সাময়িকভাবে তাঁদের অন্য ব্লকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি জানান, রাজনৈতিক দলের নেতারা ক্যম্পাসের ভিতরে ও বাইরে আসা-যাওয়া করছেন। এ কথা শুনে প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম বলেন, কোনও রাজনৈতিক দলের নেতারা এভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারে না। পুলিশ বিষয়টা দেখবে। পড়ুয়াদের রাখার ক্ষেত্রে কোর্স অনুযায়ী কোনও ভাগ করা হয়েছে কি না, সে কথা জানতে চান বিচারপতি। আগামী ২ সপ্তাহ পর ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে।

Next Article