কলকাতা: হাতে এসেছে চাঁদ। দেশ এখন ঐতিহাসিক সেই জয়ের আনন্দে মেতে। ইসরো, যার কেন্দ্রবিন্দু। আর এই গোটা মিশনে যাদবপুরেরও (Jadavpur University) বহু প্রাক্তনীর হাত রয়েছে, সেটাও জানা। যাদবপুর, যা এরাজ্যে বিতর্কের অন্ধকারে ডুবে এখন! হস্টেলে পড়ুয়া মৃত্যুর আঁচে পুড়ছে নামজাদা এই বিশ্ববিদ্যালয়। এবার চাঁদ থেকে যাদবপুর ভায়া রাজভবন, ভরসার একটাই নাম ইসরো। চাঁদ জয়ের পর ইসরো এখন ভাসছে অভিনন্দনের বন্যায়। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রেখে নয়া মাইলস্টোল ছুঁয়ে ফেলেছে তারা। তথ্যের পাহাড় জমছে। কাজের বিশাল গুরুদায়িত্ব। তারই মধ্যে আরও এক দায়িত্ব তাদের দিয়ে বসেছেন এ-রাজ্যের রাজ্যপাল। বাংলার মাথাব্যথা বাড়িয়েছে যাদবপুর। তারই দাওয়াই খুঁজতে ইসরোর দ্বারস্থ সিভি আনন্দ বোস। র্যাগিং আটকাতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, তাকে হাতিয়ার করতে তৎপর রাজ্যপাল। আর এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতার আশ্বাস মিলেছে ইসরোর তরফেও৷ দাবি তাঁর। ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথের সঙ্গে কথাও হয়েছে একপ্রস্থ।
কিন্তু কী এমন প্রযুক্তি, যা র্যাগিংয়ের রোগ সারাতে পারবে? এমন কোন প্রযুক্তি রয়েছে যা র্যাগিং রোধে অব্যর্থ ওষুধ? প্রশ্নটা অনেকেরই। সূত্রের খবর, একটি অ্যাপই এক্ষেত্রে কামাল করে দেখাতে পারে। ফোনে অ্যাপটি ইনস্টল করতে হবে পড়ুয়াদের। অ্যাপের সঙ্গে যোগ থাকবে ইসরোর স্যাটেলাইটের। অ্যাপটিতে সম্ভবত থাকবে প্যানিক বাটন জাতীয় কোনও ব্যবস্থা। র্যাগিংয়ের শিকার হলে বা হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হলে অ্যাপ খুলে বাটনে চাপ দিতে হবে। এর ফলে সঙ্গে সঙ্গে বার্তা পৌঁছে যাবে কন্ট্রোল রুমে। বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্য কোথাও থাকতে পারে সেই কন্ট্রোল রুম। সেখান থেকেই এরপর দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই বিশেষ অ্যাপ অবশ্য এখনও তৈরি হয়নি। অত্যন্ত উন্নতমানের প্রযুক্তি ব্যবহার করে তা তৈরি করার কাজ চলছে বলে খবর।
সূত্রের খবর, একা ইসরোই নয়, আরও সংস্থা যুক্ত এই প্রযুক্তি তৈরির পিছনে । থাকছে রিমোট সেন্সিং, ভিডিয়ো অ্যানালিটিক্স সহ নানা ব্যবস্থা । অবশ্য র্যাগিং আটকানোর লক্ষ্যে বানানো হচ্ছে না এটি, উদ্দেশ্য অন্য। তবে রাজ্যপালের অনুরোধে র্যাগিং ইস্যুতেও একে কাজে লাগানো যায় কি না, সেটাই এবার দেখা হবে বলে খবর।