কলকাতা: বিশ্বকাপের জন্য সেজে উঠেছে কাতার। আর সেই কাতার থেকেই কি সোনা পাচার (Gold Smuggling) হচ্ছিল কলকাতায়? সোনা পাচারের অভিনব কৌশলের সন্ধান পেল এয়ার ইন্টেলিজেন্স শাখা। মোজার মধ্যে করে লুকিয়ে পাচার সোনার পেস্ট নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে সেই সোনা নিয়ে বেরোনোর আগেই ইন্টেলিজেন্স শাখার আধিকারিকদের হাতে ধরা পড়ে যায় শেখ কাউসার নামে এক ব্যক্তি। বুধবার দোহা থেকে কলকাতাগামী কাতার এয়ারওয়েজের কিউআর-৫৪০ বিমান থেকে শেখ কাউসার নামে ওই ব্যক্তি কলকাতায় অবতরণ করে। তার চালচলন দেখে সন্দেহ হয় বিমানবন্দরে কর্তব্যরত আধিকারিকদের। আটক করে শুল্ক দফতরের এয়ার ইন্টেলিজেন্স শাখার আধিকারিকরা তল্লাশি শুরু করেন। আর তাতেই চক্ষু চড়কগাছ। ওই ব্যক্তির মোজার ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে ৩৯৯.৪৬ গ্রাম সোনার পেস্ট। ভারতীয় মুদ্রায় তার বাজার মূল্য আনুমানিক ২১ লাখ ৩৯ হাজার টাকা।
কী কারণে ওই সোনা নিয়ে আসা হচ্ছিল? কোথা থেকে নিয়ে আসা হচ্ছিল? কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল? সেই সব প্রশ্নের সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি ওই ব্যক্তি। কথাবার্তার মধ্যে বেশ কিছু অসঙ্গতি লক্ষ্য করেন কর্তব্যরত আধিকারিকরা। শেখ কাউসার নামে ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের পর উদ্ধার হওয়া ওই সোনা বাজেয়াপ্ত করেন শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা। যদিও শুল্ক দফতরের আধিকারিক সূত্রে খবর, পরবর্তী সময়ে ওই যাত্রীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুর ২ টো নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় ওই ব্যক্তি। আটক করে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করার পর রাত প্রায় ৯ টা নাগাদ ওই ব্যক্তিকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে খবর।
উল্লেখ্য, এর আগেও কলকাতা বিমানবন্দর থেকে সোনার পেস্ট উদ্ধার করেছিলেন বিমানবন্দরের তদন্তকারী আধিকারিকরা। যত দিন যাচ্ছে, তত পাচারের নিত্য নতুন ছক উঠে আসছে। কিছুদিন আগেই টফির মোড়কের মধ্যে সোনা পাচারের চেষ্টা বানচাল হয়েছিল কলকাতা বিমানবন্দরে। আর সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের সোনা উদ্ধার। এবার একেবারে বিশ্বকাপের দেশ কাতার থেকে আসা সোনা উদ্ধার করলেন শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা।