কলকাতা: প্রথমে এগরা (Egra) দিয়ে শুরু হয়েছিল। তারপর বজবজ (Budge Budge)। তারপরও আরও কয়েক জায়গায় বাজি বিস্ফোরণ। একের পর এক একই ধরনের ঘটনার পর বেশ অস্বস্তি বেড়েছিল রাজ্য প্রশাসনের। প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিল বিরোধীরা। এদিকে এগরার ঘটনার পরপরই রাজ্যজুড়ে বেআইনি বাজি (Fire Crackers) কারখানা বন্ধ করতে কড়া পদক্ষেপ শুরু করেছিল পুলিশ। মৌখিক নির্দেশিকাও দেওয়া হয়েছিল জেলার পুলিশ সুপার ও পুলিশ কমিশনারদের। ধরপাকড় শুরু হয়েছিল জেলায় জেলায়। তারপর বজবজের ঘটনার পর পুলিশি অভিযানে আরও গতি আসে। জানা যাচ্ছে, এগরার বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পর থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের তরফে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২ লাখ ৬২ হাজার কেজি বেআইনি বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে বেআইনি বাজি তৈরির মশলা ও বিস্ফোরকও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে পুলিশের তরফে। সব মিলিয়ে মোট ২৯ হাজার ৮৭ কেজি বাজির মশলা ও বিস্ফোরক পাওয়া গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। মোট ৮ হাজার ১৭৪ প্যাকেট বাজি আটক করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। রাজ্য পুলিশ সূত্রে খবর, বেআইনি বাজি মজুত ও বিক্রির অভিযোগে এখনও পর্যন্ত মোট ২৯২টি মামলা রুজু করা হয়েছে এবং সবমিলিয়ে রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে মোট ২৪৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এগরা ও বজবজের ঘটনার পর জেলায় জেলায় পুলিশি অভিযান শুরু হয়েছে। চলছে পুলিশি ধরপাকড়। সেই নিয়ে একাংশের মানুষের মধ্যে অসন্তোষের দৃশ্য়ও উঠে এসেছে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায়। তাঁদের দাবি, যাদের সঙ্গে বাজি ব্যবসার কোনও যোগ নেই, তাদেরও পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, যে বিপুল পরিমাণ বাজি উদ্ধার করা হয়েছে এই কয়েকদিনে… তার মধ্যে একটি বড় অংশ পাওয়া গিয়েছে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে। ১ লাখ কেজিরও বেশি বাজি পাওয়া গিয়েছে বজবজ, মহেশতলা, নোদাখালি সহ ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার বিভিন্ন থানা এলাকাগুলি থেকে।