কলকাতা: শোকজ হয়েছিলেন। নিরাপত্তাতেও কাটছাঁট হয়েছে। এমনকী ভরা বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ধমকও খেয়েছিলেন ভরতপুরের বিধায়ক তৃণমূল হুমায়ুন কবীর। এবার মুখ খুললেন তিনি। এতদিন ধরে প্রকাশ্যে যা বলেছেন তার জন্য ক্ষমা চাইলেন হুমায়ুন। একইসঙ্গে তাঁর দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব নিয়ে কোনওদিনই প্রশ্ন তোলেননি। বরং মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে সবটা তুলে ধরেছেন তাতে খুশি হুমায়ুন।
সম্প্রতি, হুমায়ুন কবির দাবি তুলেছিলেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুলিশমন্ত্রী করার। সেখান থেকেই শুরু হয় বিতর্ক। এরপর আক্রমণ করেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। অভিযোগ ছিল, তিনি যেখানকার বিধায়ক, সেখানে অভিযোগ জানানোর জন্য কাউকে পাওয়া যায় না। এরপর গতকাল তৃণমূলের সব বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে তিনি বুঝিয়ে দেন দল তিনি এবং সুব্রত বক্সী দেখবেন। সেই প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন হুমায়ুন। বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী সুন্দরভাবে গাইড করেছেন। সবাইকে একই পরিবারের সদস্য বলেছেন। এটা ভাল লাগছে।”
এ দিন কার্যত সংবাদ মাধ্যমের সামনে সুর নরম হতে দেখা গেল হুমায়ুনকে। এর আগে যে দাপটের সঙ্গে তিনি দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাইরে উগরে দিয়েছিলেন, এবার একদম উল্টো সুরে কথা বললেন তিনি। বললেন, “মমতা আমাদের দলের সর্বোচ্চ নেত্রী। আমি বিগত কয়েকদিন যে ধরনের কথা বাইরে বলেছিলাম, সেটা ভুল হয়েছে। আমার এই নিয়ে বাইরে কথা বলা উচিৎ হয়নি। তার জন্য আমি ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছি।” তিনি এও জানিয়ে দিয়েছেন, সুপ্রিমো নির্দেশ দিয়েছেন এমন কোনও মন্তব্য করা যাবে না যা নিয়ে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। একই সঙ্গে হুমায়ূন জানিয়েছেন, একটি হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ খুলে দেওয়া হয়েছে তাঁদের জন্য। গ্রুপটি অরূপ বিশ্বাস দেখছেন। ওই গ্রুপে যাবতীয় কথা বলা যাবে।