কলকাতা : জবাবটা এল কিছুক্ষণের মধ্যেই। তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, খুঁজলে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বাড়ি থেকেও অস্ত্র পাওয়া যাবে। যার জবাব দিতে দেরি করেননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি। টুইটারে তিনি লেখেন, “তল্লাশি চালালে আমার বাড়ি থেকে অস্ত্র পাওয়া যাবে বলে ফিরহাদ হাকিম যে মন্তব্য করেছেন, তা ভিত্তিহীন অভিযোগ।” এরপরই ফিরহাদকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন তিনি। বলেন, “আমার বাড়িতে তল্লাশির চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি। একইসঙ্গে তাঁর বাড়িতেও তল্লাশির অনুমতি দিতে চ্যালেঞ্জ করছি। এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি তাঁকে।”
২১ মার্চ বীরভূমের বগটুইয়ে তৃণমূল উপপ্রধান খুন হওয়ার পর একাধিক বাড়িতে আগুন লাগে। মৃত্যু হয় নয়জনের। অভিযোগ, বাড়িগুলিতে আগুন লাগিয়ে খুন করা হয়েছে নয়জনকে। ওই ঘটনার পর বগটুইয়ে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশকে আরও সক্রিয় হতে নির্দেশ দেন। বলেন, রাজ্যের যেখানে যত বেআইনি অস্ত্র, বোমা রয়েছে তল্লাশি চালিয়ে সেগুলি বাজেয়াপ্ত করতে হবে। এরপরই জেলায় জেলায় শুরু হয় পুলিশি অভিযান। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে বোমা, অস্ত্র উদ্ধার হয়। বীরভূমেরই একাধিক জায়গা থেকে বোমা পাওয়া যায়। এমনকী, আসানসোল এবং মালদায় বেআইনি অস্ত্র কারখানার হদিস পাওয়া যায়।
রাজ্যজুড়ে বোমা-অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় শাসকদলকে আক্রমণ শুরু করে বিরোধীরা। বারুদের স্তূপের উপর রাজ্য দাঁড়িয়ে বলে আক্রমণ শানায়। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার রাতে হরিদেবপুর থানা এলাকায় অটোর ভিতর থেকে বোমা, অস্ত্র, কার্তুজ উদ্ধার হয়। এই নিয়ে বিরোধীদের আক্রমণের জবাবে আজ ফিরহাদ বলেন, “দুষ্কৃতীরা সমাজে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে। পুলিশই সেটা উদ্ধার করছে। এটা তো থাকবে। বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তর প্রদেশ থেকে অস্ত্র আসছে।” এরপরই কলকাতার মেয়র তথা পরিবহন মন্ত্রী বলেন, “শুধু কলকাতা থেকে অস্ত্র উদ্ধার হয় না। অন্য জায়গা থেকেও অস্ত্র উদ্ধার হয়। খুঁজলে সুকান্তবাবুর বাড়ি থেকে অস্ত্র পাওয়া যাবে। ওরা তো অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে অনুষ্ঠান করে।”
ফিরহাদের মন্তব্যের জবাব দিতে দেরি করেননি সুকান্ত। টুইটেই কলকাতার মেয়রকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি হোক। একইসঙ্গে ফিরহাদের বাড়িতেও তল্লাশির চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন তিনি।
TMC leader Farhad Hakim’s statement that arms will be found in my house if searched is a baseless allegation.
I challenge him to do so. Also, i challenge him to allow the searching of his house. I challenge him to accept this challenge.
— Dr. Sukanta Majumdar (@DrSukantaBJP) April 23, 2022
রাজ্যে অস্ত্র উদ্ধার নিয়ে শাসকদলকে আক্রমণ করেছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও। তিনি বলেন, বগটুইকাণ্ডের পর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল। তখন তৃণমূল বলেছিল, সিপিএমের পার্টি অফিসে অস্ত্র মজুত ছিল। আর এখন এত অস্ত্র কোথা থেকে উদ্ধার হচ্ছে?
আরও পড়ুন : Bomb Recover: হরিদেবপুরকাণ্ডে পুলিশের হাতে সিসিটিভি ফুটেজ, দুই যুবকের গতিবিধিতে ধোঁয়াশা